খাদ্যাভ্যাসের কারণেও কিন্তু দাঁতে ব্যথা হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
সারা দিনে নিয়মমাফিক ব্রাশ, খাওয়ার পরে কুলকুচি করে মুখ ধোয়া ছাড়া আলাদা করে দাঁতের যত্ন নিতে খুব একটা সময় দেওয়া হয় না। দাঁতের যত্ন নিতে এই বিষয়গুলি ছাড়াও আরও কয়েকটি দিকে যত্নবান হওয়া প্রয়োজন। দাঁতের ফাঁকে ঢুকে যাওয়া খাবারের টুকরো, খাবারের অতিরিক্ত চিনি দাঁতের ক্ষয় করে। এখান থেকে শুরু হয় দাঁতে ব্যথা। তবে খাদ্যাভ্যাসের কারণেও কিন্তু দাঁতে ব্যথা হতে পারে। দাঁতে ব্যথা এড়াতে কোন খাবারগুলি থেকে দূরে থাকবেন?
লেবু জল
ভিটামিন সি-র উৎস লেবু জল। রোগা হতে অনেকেই নিয়মিত গরমজলে লেবু মিশিয়ে খান। দন্ত বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লেবুর রসে থাকা অ্যাসিড দাঁতের এনামেল ক্ষয় করতে পারে। ফলে দাঁতে ব্যথা এবং সঙ্গে মাড়ি সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার কারণ হতে পারে।
আপেল সিডার ভিনিগার
ডিটক্স পানীয় হিসাবে অনেকেই ভরসা রাখেন আপেল সিডার ভিনিগারে। দাঁতের চিকিৎসকরা বলছেন, আপেল সিডার ভিনিগার শরীর ঝরঝরে রাখতে সাহায্য করলেও এর অ্যাসিড উপাদান দাঁতের ক্ষয় করে। এমনকি, আপেল সিডার ভিনিগারের অত্যধিক ব্যবহারে দাঁতের রঙেও পরিবর্তন আসতে পারে। এর উচ্চ মাত্রার অম্ল উপাদানের কারণে পেটের গোলমালেরও কারণ হতে পারে।
জুস
এই গরমে গলা ভেজাতে অনেকেই বিভিন্ন নরম পানীয়, কোল্ড ড্রিংক, রঙিন পানীয়তে। এই পানীয়গুলি আপনাকে গরম থেকে সাময়িক স্বস্তি দিলেও এই পানীয়তে থাকা শর্করা দাঁতের পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে। তাই এই ধরনের পানীয় বেশি না খাওয়াই ভাল।
বারে বারে খাবার খাওয়া
অল্প সময়ের বিরতিতে খাবার খাওয়ার প্রবণতাও ঝুঁকি দাঁতের সমস্যার। বারে বারে খাবার খাওয়ার ফলে দাঁতে চাপ পড়ে। ফলে দাঁত ভিতর থেকে ক্ষয়ে যেতে থাকে। ক্যাভিটির সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
দন্ত চিকিৎসকরা সারা দিনে যত বার খাচ্ছেন, তত বারই দাঁত মেজে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। এতে দাঁতের ফাঁকে খাবারের টুকরো আটকে থাকার আশঙ্কা থাকে না।