প্রতীকি ছবি। ছবি: সংগৃহীত
সাধারণ মানুষ হন বা তারকা, ওজন কমাতে পরিশ্রমের খামতি রাখেন না কেউই। নিয়মিত শরীরচর্চার পাশাপাশি খাদ্যতালিকা থেকেও বাদ পড়ে অনেক কিছু। অনেকের ধারণা যে কম খেলে বোধহয় দ্রুত ওজন কমানো সম্ভব। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে পুষ্টিবিদরা বলেছেন যে, ওজন কমাতে গিয়ে শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব ঘটলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই এমন কিছু খাবার খেতে হবে যেগুলি ওজনও নিয়ন্ত্রণ রাখবে এবং শরীর সুস্থ রাখতেও সাহায্য করবে। সেগুলি কী?
ওমেগা-থ্রি সমৃদ্ধ খাবার
পেটের অতিরিক্ত মেদ ও চর্বি কমাতে ওমেগা-থ্রি জাতীয় খাবার বেশ উপকারী। সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-থ্রি পাওয়া যায়। এ ছাড়াও আখরোট, চিয়া সিডস্, সোয়াবিন, সোয়াবিন তেল ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-থ্রি পাওয়া যায়।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার
প্রোটিন শরীরের পেশি মজবুত করে। অতিরিক্ত চর্বি কমাতেও প্রোটিন অত্যন্ত সহায়ক। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারে থাকা উচ্চ গ্লাইসেমিক সূচক দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। দুগ্ধজাত খাবার, ডিম এবং ফল, সবুজ শাকসব্জি ইত্যাদি খাবারে ভরপুর প্রোটিন থাকে
ছবি: সংগৃহীত
পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার
গবেষণা বলছে, পটাসিয়াম ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখে শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া শরীরের কোষে উপকারী উপাদান প্রদান করে পটাসিয়াম।
মুসুর ডাল, অ্যাভোকাডো, পালং শাক, ব্রকোলি ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম পাওয়া যায়।
ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরের যাবতীয় দূষিত পদার্থ বাইরে বার করে শরীর তাজা ও ঝরঝরে রাখে ভিটামিন-সি। টক জাতীয় ফল, সবুজ শাকসব্জি, স্ট্রবেরি, আমলকিতে ভিটামিন-সি পাওয়া যায়।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার
বিপাকক্রিয়ায় ব্যপক ভাবে সাহায্য করে। হজমশক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি ফাইবার ওজন কমাতে, কোলেস্টেরল ও উচ্চ রক্তচাপের মাত্র কমাতেও সহায়ক। বিনস্, বিভিন্ন শস্য, ব্রাউন রাইস, বেরি জাতীয় ফল, বাদাম ইত্যাদি খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার থাকে।