ডায়াবিটিস, থাইরয়েডের মতো হরমোনজনিত নানা অসুখে ফ্যাটি লিভারের প্রবণতা বাড়ে। প্রতীকী ছবি।
স্বাভাবিকের তুলনায় ওজন বেড়ে গেল যে সমস্যাগুলি তৈরি হয়, ফ্যাটি লিভার তার মধ্যে অন্যতম। খাবার থেকে পাওয়া ফ্যাট লিভারে জমা হতে হতে এই সমস্যা আরও বড় আকার নেয়। তাই ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হলে খাওয়াদাওয়া সংক্রান্ত নানা সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
লিভার সাধারণত পাঁচ থেকে ছয় শতাংশ চর্বি শোষণ করতে পারে। এর চেয়ে বেশি চর্বি জমা হলে তা বিপজ্জনক। সময় মতো চিকিৎসা না করালে এই অসুখের হাত ধরে ‘সিরোসিস অব লিভার’-ও হতে পারে। ডায়াবিটিস, থাইরয়েডের মতো হরমোনজনিত নানা অসুখেও ফ্যাটি লিভারের প্রবণতা বাড়ে। আগে থেকে সাবধান না হলে লিভারের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই খাওয়াদাওয়ায় একটা পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। ফ্যাটি লিভার হলে সব কিছু খাওয়া যায় না। ফ্যাটি লিভার থেকে সুরক্ষিত কোন খাবারগুলি রোজের তালিকায় রাখবেন?
কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যাস ফ্যাটি লিভারের মতো সমস্যাকে জব্দ করতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
মরসুমি ফল
ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থাকলে নির্ভয়ে খেতে পারেন নানা ধরনের মরসুমি ফল। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ ফল শরীরের যত্ন নিতে অন্যতম ভূমিকা পালন করে। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে শুরু অন্যান্য রোগের ঝুঁকি কমাতেও রোজের পাতে রাখুন ফল।
গ্রিন টি
ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় গ্রিন টি মহৌষধির মতো কাজ করে। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট-এর গুণে সমৃদ্ধ গ্রিন টি। রোজের ডায়েট রাখুন গ্রিন টি। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাবেন।
রসুন
সর্দি, কাশি কমানো থেকে শুরু করে রান্নায় স্বাদ বাড়ানো— রসুনের জুড়ি মেলা ভার। চিকিৎসকেরা বলছেন, কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যাস ফ্যাটি লিভারের মতো সমস্যাকে জব্দ করতে পারে। তবে তার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া প্রয়োজন।
ভিটামিন ই
ফ্যাটি লিভারের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভিটামিন ই হতে পারে অন্যতম অস্ত্র। রোজের পাতে একটি করে হলেও তাই ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার রাখা প্রয়োজন। সূর্যমুখীর বীজ, কাঠবাদাম, কুমড়ো, বেলপেপারের মতো কিছু খাবারে ভিটামিন ই ভরপুর পরিমাণে পাওয়া যায়।
ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
ফ্যাটি লিভার আছে বলে মাছ খাওয়া বন্ধ করেছেন? এতে শরীর কিন্তু দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। চিকিৎসকরা বলছেন, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছ নির্দ্বিধায় খেতে পারেন। এ ছাড়া বাদাম, চিয়া বীজও ফ্যাটি লিভারের জন্য খুবই উপকারী।