সরাসরি চিনি খাওয়ার অভ্যাস শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। ছবি: সংগৃহীত
ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই মিষ্টি এড়িয়ে চলেন। অথচ চায়ে এক চামচ চিনি না মেশালে চলে না। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সরাসরি চিনি খাওয়ার এই অভ্যাস শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। ২০১০ সালের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, সারা দিনে একবার হলেও চিনিযুক্ত পানীয় খাওয়ার অভ্যাস ডায়াবিটিসের ঝুঁকি প্রায় ২৬ শতাংশ বাড়িয়ে দিতে পারে। অ্যালকোহলের চেয়েও চিনি মেশানো কোনও পানীয় অনেক বেশি বিপজ্জনক।
চিনি ডায়াবিটিসের পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ, দাঁতের ক্ষয়ের মতো সমস্যার সৃষ্টি করে। সেই সঙ্গে স্থূলতা এমনকি ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়ায়। প্রতি মিলিলিটার চিনিযুক্ত পানীয় ক্যানসারের ঝুঁকি ১৮ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। চিনির কিছু কৃত্রিম বিকল্পও এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। চিনি থেকে দূরে থাকতে অনেকেরই রোজের ডায়েটে জায়গা করে নিয়েছে এই কৃত্রিম চিনির গুঁড়ো কিংবা ট্যাবলেট। চিকিৎসকরা কিন্তু অন্য কথা বলছেন। তাঁদের মতে, বাজারচলতি কৃত্রিম চিনিতে বিভিন্ন রাসায়নিক যৌগ থাকে। কৃত্রিম চিনির মিষ্টি ভাব আনতেই মূলত এগুলি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এগুলি শরীরের পক্ষে মোটেই ভাল নয়। চিনির মতোই সমান ক্ষতিকর। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বাড়তে পারে এর ফলে। মিষ্টি খেতে ইচ্ছা করছে মানেই কৃত্রিম চিনি মিশিয়ে চা খেয়ে নিলেন, এমন করা কিন্তু ঠিক নয়।
প্রতি মিলিলিটার চিনিযুক্ত পানীয় ক্যানসারের ঝুঁকি ১৮ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। ছবি: প্রতীকী
চিনি বলে নয়, যে কোনও কৃত্রিম খাবারই স্বাস্থ্যকর নয়। নানা রকম অসুখের ঝুঁকি বাড়ে এর ফলে। অনেকেই আছেন রান্নাতেও কৃত্রিম চিনি মেশান। এই চিনি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়বে না, ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে— অনেকেই এমন ধারণা পোষণ করেন। পুষ্টিবিদ থেকে চিকিৎসক, সকলেই বলছেন এই কৃত্রিম চিনিও শরীরের ভিতরে সমান ভাবে ক্ষতি করে। তাই চিনির বদলে কৃত্রিম কোনও চিনি বেছে নেওয়া কোনও বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।