ওজন ঝরবে শুকনো ফলের গুণেই। ছবি- সংগৃহীত
অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও অনিয়মিত জীবনযাপনের হাত ধরে শরীরে জমে বাড়তি মেদ। ফ্যাট কমানোর চেষ্টায় যোগ হয় ডায়েট, প্রয়োজনীয় শরীরচর্চাও। কিন্তু চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদদের সাহায্য না নিয়ে নিজের বেছে নেওয়া ডায়েটে থেকে যায় অনেক ভুলভ্রান্তি। তাই শরীরে মেদ জমার ভয় অনেক উপকারী ফ্যাটকেও আমরা অজান্তেই বাদ দিয়ে ফেলি। ভুল হয় এখানেই। কিছু ফ্যাট জাতীয় খাবার আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজন। ফ্যাটের চাহিদা মেটাতে এ সব খাবারে ভরসা রাখতেই হয়।
শুধু তা-ই নয়, পুষ্টিবিদদের মতে, এমন কিছু ফ্যাট জাতীয় খাবার রয়েছে, যা ডায়েটে যোগ করলে মেদ তো বাড়েই না, উল্টে তা কমাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে বাদাম-সহ কিছু ড্রাই ফ্রুটস। অনেকের ধারণা বাদাম ও ড্রাই ফ্রুটস বোধ হয় মেদ বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু নিয়ম মেনে ও প্রতি দিনের ডায়েটে এদের রাখলে মেদ কমাতে এরা প্রভূত উপকার করে। বিপাক হার বাড়াতে যেমন কার্যকর, তেমনই খারাপ কোলেস্টেরলকে ভাল কোলেস্টেরলে পরিবর্তন করা, লিপিডের স্তরকে নামিয়ে রাখার কাজেও লাগে। মূলত পেটের মেদ ঝরাতে এ সব খুব কার্যকর।
ছবি- সংগৃহীত
মেদ ঝরাতে কোন কোন ড্রাই ফ্রুটসের উপর ভরসা করা যায়, আর কতটা পরিমাণে খেলে তবেই পাবেন কাঙ্ক্ষিত লাভ, জানেন?
আমন্ড: আমন্ড বা কাঠবাদামের অন্যতম কাজ খারাপ কোলেস্টেরলকে ভাল কোলেস্টেরলে পরিবর্তিত করা। এ ছাড়া, শরীরের বিপাক হার বাড়িয়ে, তা খিদে বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে আমন্ড। তাই প্রতি দিন ডায়েটে ৭-৮টি আমন্ড রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।
পেস্তা: প্রচুর ভিটামিন ও খনিজের উৎস তো বটেই, এ ছাড়া পেস্তার অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট শরীরের বিপাক হার বাড়ায়। রক্তচাপের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে। প্রতি দিন ৫-৬টি পেস্তা তাই রাখুন ডায়েটে।
আখরোট: মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে আখরোটের জুড়ি মেলা ভার। এতে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে দেয় না। এ ছাড়া, এতে আলফা লিনোলেনিক অ্যাসিড বা ‘এএলএ’ থাকায় তা হজমশক্তি বাড়িয়ে শরীরের মেদ ঠেকাতে বিশেষ কাজে আসে। প্রতি দিন ১০-১২টি আখরোট রাখতেই পারেন খাওয়ার পাতে।
খেজুর: উচ্চ ক্যালোরির ডায়েটে বিশেষ কাজে আসে খেজুর। এতে ক্যালোরি খুব বেশি ও সহজে পেট ভরে বলে ডায়েটে খেজুর রাখেন অনেকেই। অল্প ক’টি খেজুর খেয়ে নিলে অনেক ক্ষণ আর খিদে পাবে না। তাই প্রতি দিন ৪-৫টি খেজুর রাখুন পাতে।
কাজু: শরীরের কাজে আসে এমন ফ্যাটে ঠাসা কাজুবাদাম। খারাপ কোলেস্টেরলকে ভাল কোলেস্টেরলে পরিবর্তিত করা এর অন্যতম কাজ। এ ছাড়া, শরীরের প্রয়োজনীয় তেলের জোগানও কিছুটা মিটিয়ে দিতে পারে কাজুবাদাম। তাই ৪-৫টি কাজুও খাওয়া ভাল।