রোজের জীবনে কিছু নিয়ম মেনে না চলার ফলে জন্ম নেয় আরও কিছু অসুস্থতা। ছবি- প্রতীকী
হৃদ্যন্ত্রের অবস্থা বাইরে থেকে বোঝা কঠিন। সারা দিনের দৌড়ঝাঁপ, সংসারের কাজ, অফিসের ব্যস্ততা— সবই দিব্যি চলছে। কোথাও গরমিল নেই। হঠাৎই এক দিন বুকে চিনচিনে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, বুকে চাপ লাগার মতো সমস্যায় শরীর কাহিল হয়ে পড়ে। হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়ে। হঠাৎ কেন হয় এমন?
চিকিৎসকরা বলছেন, হঠাৎ নয়, হৃদ্যন্ত্রের কমজোরি হয়ে পড়ার ঘটনা রাতারাতি হয় না। বরং বেশ আগে থেকে সঙ্কেত দিতে থাকে হার্ট। অনেক সময় দৈনন্দিন জীবনযাত্রার ভিড়ে সেই সঙ্কেত সব সময় অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, অত্যধিক মানসিক চাপ এমন কিছু কারণে বাসা বাঁধে হৃদ্যন্ত্র ধীরে ধীরে বিকল হয়ে যেতে থাকে। তবে শুধু কি অস্বাস্থ্যকর জীবনধারাই হার্ট অ্যাটাকের একমাত্র কারণ? চিকিৎসকরা এ বিষয়ে একমত নন। তাঁদের মতে, রোজের জীবনে কিছু নিয়ম মেনে না চলার ফলে জন্ম নেয় আরও কিছু অসুস্থতা। সেই রোগ থেকেই জন্ম নেয় হার্টের অসুখ। শরীরের কোন সমস্যাগুলি হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে?
১) উচ্চ রক্তচাপ
হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা জন্ম নিতে পারে উচ্চ রক্তচাপের হাত ধরে। স্বাভাবিক সীমার চেয়ে বেশি রক্তচাপ হৃদ্যন্ত্রের জন্য প্রাণঘাতী। শরীরের স্বাভাবিক রক্তচাপ ১২০/৮০। রক্তচাপ এর বেশি হলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি তৈরি করে। উচ্চ রক্তচাপ থাকলে রক্ত পাম্প করার সময় হার্ট এবং ধমনীতে চাপ সৃষ্টি করে। দীর্ঘ দিন এই চাপের ফলে হৃদ্যন্ত্র ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে।
২) ডায়াবিটিস
রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি হলে সাধারণত ওজন কমে যাওয়া, চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। অনেকেরই হয়তো অজানা যে ডায়াবিটিস হলেও দেখা দিতে পারে হৃদ্রোগ। উচ্চ রক্তচাপের মতো ডায়াবিটিসও হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিতে পারে।
৩) কোলেস্টেরল
হার্ট ভাল রাখতে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বলেন চিকিৎসকরা। কোলেস্টেরল হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে শরীরে যদি খারাপ কোলেস্টেরল ‘এলডিএল’-এর মাত্রা বেশি থাকে, তা নিয়ন্ত্রণে না রাখলে হার্টের অসুখ বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
(এই লেখাটি প্রথম প্রকাশের সময় খারাপ কোলেস্টেরল ‘এইচডিএল’ লেখা হয়েছিল। সঠিকটি হবে ‘এলডিএল’। অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য আমরা আন্তরিক দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।)