কোন লক্ষণগুলি জানান দেবে আপনার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে?
বাইরে থেকে একেবারে সুস্থ। কেবল জোরে হাঁটাহাঁটি বা সিঁড়ি ভাঙলে হাঁপিয়ে উঠছেন প্রায়ই। অবশ্য তা তো কমবেশি সকলেরই হয়— এমন ভেবেই নিশ্চিন্ত থাকেন অনেকে। কিন্তু বুঝতে পারেন না চুপিসারে রক্তে কখন বেড়ে গিয়েছে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা। পরে সমস্যা বাড়লে রক্ত পরীক্ষা করালে ধরা পড়ে তার দৌরাত্ম্য। উচ্চ রক্তচাপ, ওবেসিটি তো বটেই, কোলেস্টেরলের হাত ধরে হৃদ্যন্ত্রও দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই খারাপ কোলেস্টেরলকে অবহেলা করলে তার ফলও খুব একটা সুখকর হয় না।
শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে শরীরে কিছু পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। উচ্চ কোলেস্টেরল ধমনীর উপর চাপ তৈরি করে। যার থেকে ‘পেরিফেরাল আর্টারিয়াল ডিজিজ’-এর ঝুঁকি বেড়ে যায়। এই প্রকার রোগে ধমনীগুলি সরু হয়ে যায় ফলে রক্ত চলাচল ব্যহত হয়। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত ঠিক মতো পৌঁছাতে পারে না। ফলে শরীরের বিভিন্ন গাঁটে যন্ত্রণা শুরু হয়।
প্রতীকী ছবি
১) কোলেস্টেরল খুব বেড়ে গেলে হাতের টেন্ডন লিগামেন্টগুলিতে প্রভাব পড়ে। এ ক্ষেত্রে হাতের ধমনীগুলি সরু হয়ে গেলে হাতের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন-সহ রক্ত পৌঁছতে পারে না। ফলে অসম্ভব যন্ত্রণা শুরু হয়। লেখার সময়, টাইপ করার সময় বা হাতের যে কোনও কাজ করার সময় ব্যথা অনুভূত হয়। হাতের জোর কমতে শুরু করে। একই কারণে ঘাড় ও হাতের সংযোগস্থলেও ব্যথা হয়। মাঝেমাঝে এমন ব্যথায় আমরা নাজেহাল হই।
২) পায়ের পাতায় অনেক সময় এমন ব্যথা অনুভূত হয়। বিশেষত হাঁটার সময় বা দীর্ঘ ক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকলে এই ব্যথা বাড়ে। এটিও শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ার উপসর্গ হতে পারে।
৩) নিতম্বেও ব্যথা হওয়া উচ্চ কোলেস্টেরলের লক্ষণ হতে পারে। যদি মাঝেমাঝেই নিতম্বে ব্যথা হয় তা হলে কিন্তু সেই লক্ষণ ভাল নয়। এই সব লক্ষণ দেখা দিলে এক বার রক্ত পরীক্ষা করে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা দেখে নেওয়া জরুরি।