15-Minute Walk

দিনে মাত্র মিনিট ১৫ হাঁটলেই কি জীবনে মারাত্মক ভাল পরিবর্তন আনা সম্ভব? কী বলছেন চিকিৎসক?

ইন্টারনেট ঘেঁটে জানতে পেরেছেন, সারা দিনে মাত্র পনেরো মিনিট হাঁটলেই নাকি মারাত্মক সব রোগের ‘নাকে দড়ি পরিয়ে’ রাখা যেতে পারে। এই তত্ত্ব কি আদৌ যুক্তিযুক্ত?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২৪ ১০:৫১
Share:

১৫ মিনিট হাঁটলে জীবন বদলে যাবে? ছবি: সংগৃহীত।

মস্তিষ্কের জন্য যেমন ভাবা প্র্যাক্টিস করার কথা বলেন অনেকে, তেমন শরীরের জন্য ভাল হাঁটার অভ্যাস। সুস্থ থাকতে নিয়ম করে শরীরচর্চা করতে বলা হয়। তবে সময়ের অভাবে অনেকেই সে ভাবে ঘাম ঝরাতে পারেন না। তাই রোজের নানা কাজের মাধ্যমেই শারীরিক ভাবে সক্রিয় থাকার ব্যবস্থা করেন। যেমন বাড়িতে কিংবা অফিসে লিফ্‌টের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করা। বাসে বা অটো করে নির্দিষ্ট গন্তব্যের খানিকটা আগে নেমে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া। অনেকেই তার সুফল পেয়েছেন। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রেও এই বিষয়টিও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সারা দিনে মাত্র মিনিট পনেরো হাঁটাহাঁটি করলেই শরীরে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন অনেকে। তবে চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলছেন, “হাঁটার উপকার রয়েছে। সে কথা ঠিক। তবে, মিনিট পনেরো হাঁটাহাঁটিতে তেমন কোনও প্রভাব চোখে পড়বে বলে মনে হয় না। তা ছাড়া, প্রত্যেকের বিএমআই আলাদা। সব ধরনের শরীরচর্চা সকলের জন্য নয়। তাই এই সূত্র যে সকলের কাজে লাগবে, এমনটা না-ও হতে পারে।”

Advertisement

চিকিৎসক, পুষ্টিবিদ থেকে সমাজমাধ্যম— ইদানীং সবর্ত্রই দশ হাজার পা হাঁটার সূত্রটি ঘোরাফেরা করছে। মাত্র পনেরো মিনিটে তো এত পা হাঁটা যায় না। তা ছাড়া সকলের পা, হাঁটু কিংবা কোমর এই পরিমাণ হাঁটার ধকল সহ্য করতে পারবেন তেমনও নয়। সে ক্ষেত্রে কী করণীয়? সুবর্ণ বলেন, “যদি ফল পেতে হয়, তা হলে অন্তত পক্ষে সাত হাজার স্টেপ হাঁটতেই হবে। সকালে কিংবা রাতে খাওয়াদাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি (ব্রিস্‌ক ওয়াক) করা ভাল। তবে, পনেরো মিনিট হেঁটেই সব রোগ সারিয়ে ফেলার যুক্তি অবাস্তব।”

শরীরচর্চার অন্যতম একটি মাধ্যম হিসাবে কাজ করে হাঁটা। ছবি: সংগৃহীত।

হার্ট ভাল রাখতে, রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিংবা ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও হাঁটার দাওয়াই কাজে লাগে। শরীরচর্চার অন্যতম একটি মাধ্যম হিসাবে কাজ করে হাঁটা। তবে, শুধু হাঁটার উপর সব কিছু নির্ভর করে না। হাঁটার সঙ্গে ডায়েটেরও বড় ভূমিকা রয়েছে। চিকিৎসকের কথায়, “হাঁটছি বলেই যা খুশি খেয়ে যাব, এমনটা ভেবে নিলেও বিপদ আছে। বিশেষ করে ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে খাওয়াদাওয়ার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা প্রয়োজন। যে সব খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি, সেই ধরনের খাবার না খাওয়া, কখন খাব আর কতটুকু খাব, সেই সম্পর্কেও সচেতন থাকা জরুরি।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement