এ বার পুরুষদের জন্যও পাওয়া যাবে জন্মনিরোধক বড়ি। ছবি: শাটারস্টক।
অসুরক্ষিত যৌনমিলনের পর সন্তানধারণের ঝুঁকি এড়াতে মহিলারা সঙ্গমের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গর্ভনিরোধক ওষুধ খান। এই প্রকার ওষুধ খেলে গর্ভধারণের ঝুঁকি প্রায় ৯০ শতাংশ কমে যায়। তবে এ বার পুরুষদের জন্যও পাওয়া যাবে জন্মনিরোধক বড়ি।
ওয়েল কর্নেল মেডিসিনের বিজ্ঞানীরা নয়া ওষুধ আবিষ্কার করেছেন, যা পুরুষরা খেলে তাঁদের শুক্রাণুর কার্যকারিতা কমে যাবে। এই ওষুধের নাম টিডিআই-১১৮৬১। এই ওষুধটি আবিষ্কার হয়েছিল ঠিক পেনিসিলিনের মতো। ২০১৮ সালে চিকিৎসক মেলানি বালবাচ চোখের ওষুধ বানানোর সময়ে দ্রবণীয় অ্যাডেনাইলাইল সাইক্লেস বা স্যাক নামে একটি প্রোটিন নিয়ে গবেষণা করছিলেন। যখন ওষুধটি ইঁদুরকে দেওয়া হয়েছিল, তখন বালবাচ লক্ষ করেন, এই প্রোটিন শুক্রাণুর কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে সক্ষম।
ইঁদুরের শরীরে ওষুধটি প্রয়োগ করার পর দেখা গিয়েছে, তার শরীরে শুক্রাণুগুলির নড়াচাড়ার শক্তি কমে গিয়েছে। সেখান থেকেই বিজ্ঞানীরা এই প্রোটিনকে ব্যবহার করে পুরুষদের জন্মনিরোধক তৈরির কথা ভাবতে শুরু করে। মেলানি বলেন, ‘‘ইঁদুরের শরীরে এই ওষুধ প্রয়োগ করে দেখা গিয়েছে যে ওষুধটি আধ ঘণ্টা থেকে ১ ঘণ্টার মধ্য কাজ করতে শুরু করে। পুরুষদের জন্য অন্য যে সকল জন্মনিরোধক নিয়ে পরীক্ষা চালানো হচ্ছে, সেগুলি দিয়ে শুক্রাণুর কার্যকারিতা কমাতে কিংবা শুক্রাণুর সংখ্যা কমাতে এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগে।’’
গবেষকদের মতে, এই দাওয়াই ব্যবহৃত হলে অবাঞ্ছিত গর্ভধারণের সমস্যা আরও কমবে। ছবি:সংগৃহীত।
এই ওষুধ মানবশরীরে এখনও প্রয়োগ করা হয়নি। সেই কাজের আগে এখনও কিছু পরীক্ষানিরীক্ষা বাকি। গবেষকদের মতে, এই দাওয়াই ব্যবহৃত হলে অবাঞ্ছিত গর্ভধারণের সমস্যা আরও কমবে। এই বড়ি বাজারে ছাড়তে আর কিছুটা সময় লাগতে পারে। তবে এক বার তা ব্যবহার করা শুরু হলে জন্ম নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় শুরু হবে বলেই আশা তাঁদের।