Urinary Tract Infection

মহিলাদের মধ্যে বাড়ছে মূত্রনালিতে সংক্রমণ, এর লক্ষণগুলি কী? সুস্থ থাকবেন কী ভাবে?

বিশ্ব জুড়ে মহিলাদের মধ্যে মুত্রনালিতে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ছে। কোন উপসর্গ দেখে চিনবেন এই রোগ? সুস্থ থাকতে কী কী করবেন?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:৫১
Share:

প্রতি পাঁচ জন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার মধ্যে এক জন এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রতীকী ছবি।

মহিলাদের মধ্যে মুত্রনালীতে সংক্রমণের সমস্যা ইদানীং বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি পাঁচ জন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার মধ্যে এক জন এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তলপেটে ব্যথা, বার বার প্রস্রাব পাওয়া, প্রস্রাব করার সময়ে জ্বালা, সেই সঙ্গে শীত শীত ভাব— প্রস্রাব সংক্রমণের প্রাথমিক উপসর্গ। সমীক্ষা বলছে, বিশ্বের প্রায় ১৫ কোটি মানুষ প্রতি বছর প্রস্রাবের সংক্রমণে ভোগেন।

Advertisement

বিভিন্ন কারণে হতে পারে এই সংক্রমণ। শীতের সময়ে জল কম খেলে মূত্রনালীতে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। এ ছাড়াও অপরিচ্ছন্ন পোশাক পরলে, আঁটসাঁট অন্তর্বাস পরলে, দীর্ঘ ক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখলে, এমন কয়েকটি কারণেও প্রস্রাবের সংক্রমণ হতে পারে। যে কোনও রোগের ক্ষেত্রে আগে থেকে কোনও ইঙ্গিত পাওয়া গেলে চিকিৎসা শুরু করতে সুবিধা হয়। প্রস্রাব সংক্রমণের ক্ষেত্রেও সে কথা প্রযোজ্য। ঋতুবন্ধের পর মাঝবয়সি মহিলাদের মধ্যে প্রস্রাবের সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই এ ব্যাপারে কিছু সতর্কতা মেনে চলা উচিত। যেমন দীর্ঘ ক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখা ঠিক নয়। এর ফলে প্রস্রাবে থাকা জীবাণু বেড়ে গিয়ে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। অনেক সময়ে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য থাকলে ‘ইউটিআই’-এর ঝুঁকি বেড়ে যায়। কৃমি থেকে প্রস্রাবের সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে, তাই কৃমির চিকিৎসা করাতে হবে।

প্রস্রাবে থাকা জীবাণু বেড়ে গিয়ে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। প্রতীকী ছবি।

প্রস্রাব সংক্রমণের মূল উপসর্গগুলি কী কী?

Advertisement

১) শীত শীত ভাব। মাঝেমাঝে জ্বরও আসে।

২) প্রস্রাব করার সময়ে ব্যথা ও জ্বালা।

৩) প্রস্রাবে দুর্গন্ধ হওয়া।

৪) প্রস্রাব ঘোলাটে বা লালচে হওয়া।

৫) শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়া।

সুরক্ষিত থাকতে কী কী করবেন?

প্রস্রাব সংক্রমণ হলে বেশি করে জল খাওয়া ছাড়া উপায় নেই। এই সময়ে একেবারেই শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি হতে দেওয়া যাবে না। তা হলে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। এ ছাড়া এই সময়ে প্রোবায়োটিক জাতীয় খাদ্য বেশি পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এই প্রকার খাদ্য ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। দই প্রোবায়োটিকের ভাল উৎস। দই খেলেও উপকার পেতে পারেন। যে সব খাবার এবং ফলে ভিটামিন সি আছে, তা বেশি করে খেতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement