বাগানের যত্ন নেওয়ার স্বাস্থ্যগুণ। ছবি: সংগৃহীত।
বাগান পরিচর্যা করলে মন ভাল থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় তা আগেই প্রকাশ্যে এসেছে। গাছের যত্ন নিলে মন শান্ত থাকে। মনের যাবতীয় ভার হালকা হয়। অর্থাৎ, মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও বাগান করার একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। তবে বাগান করলে শুধু মনের নয়, স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হয়, যা নাকি নিয়মিত শরীরচর্চা করার সমান।
আমেরিকার ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ সারা পৃথিবীর বেশ কয়েকটি বড় শহরের ৯০ হাজার মানুষকে নিয়ে একটি সমীক্ষা চালায়। প্রায় ১১ বছর ধরে চলা এই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা নিয়মিত বাগানের পরিচর্যা করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে প্রাণঘাতী রোগের আশঙ্কা অনেকটাই কমে।
কতটা কমে এই ধরনের আশঙ্কা? পরিসংখ্যান বলছে, যাঁরা সপ্তাহে ১০ মিনিট থেকে ৬০ মিনিট বাগান পরিচর্যার নিজেকে যুক্ত রাখেন, তাঁদের ক্ষেত্রে প্রাণঘাতী রোগের আশঙ্কা ১৮ শতাংশ পর্যন্ত কমে। আর যাঁরা সপ্তাহে ১৫০ মিনিট থেকে ২৯৯ মিনিট ধরে বাগানের কাজ করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই আশঙ্কা প্রায় ৩১ শতাংশ কমে যায়।
পেশি শক্তি, পেশির নমনীয়তা বাড়ে গাছের পরিচর্যা করলে। ছবি: সংগৃহীত।
বাগানের পরিচর্যা শুধু বয়স্করাই করেন— এমন একটা ধারণা থেকে কম বয়সিরা এই কাজে বেশি উৎসাহ দেখান না। কিন্তু তাদের উদ্দেশে বলা দরকার, বাগান পরিচর্যায় এমন অনেক উপকার হয়, যা জিমে যাওয়া বা যোগাসন করার সমতুল।
পেশি শক্তি, পেশির নমনীয়তা বাড়ে গাছের পরিচর্যা করলে। বয়সের ছাপও কম পড়ে। জিমে যে ভাবে ব্যায়াম শুরুর আগে কিছু স্ট্রেচিং করে নেন, গাছের পরিচর্যার আগেও সেটা করা জরুরি। তার পরে টানা ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা বাগানের কাজ করা যায়।
মাটি কোপানো থেকে গাছের ডাল ছাঁটা— সবই থাকতে পারে তার মধ্যে। একে ‘অ্যারোবিক গার্ডেনিং’ বলা হয়। তবে এখানেই শেষ নয়। বাগানের পরিচর্যা করলে দিনের অনেকটা সময় রোদে কাটাতে হয়। তার ফলে ভিটামিন ডি-র পরিমাণও বাড়ে শরীরে। এটিও বহু ধরনের রোগ প্রতিরোধ করতে পারে।