রোগী হিসাবে সৌরভ খুব বাধ্য! ছবি: সংগৃহীত
গত ডিসেম্বরে করোনায় আক্রান্ত হন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তখনও করোনার নতুন রূপ ওমিক্রনের এত বাড়বাড়ন্ত ছিল না। তবু ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ককে নিয়ে উদ্বেগ এবং উৎকণ্ঠার শেষ ছিল না চিকিৎসক মহলে। কারণ, বছর খানেক আগেই সৌরভের বুকে স্টেন্ট বসেছে। চিকিৎসকদের তরফে বারবারই বলা হয়েছে, যাঁরা হার্টের কোনও সমস্যায় ভুগছেন, কোভিড তাঁদের ক্ষেত্রে বেশ গুরুতর হয়ে উঠতে পারে। তবে সৌরভের ক্ষেত্রে বিশেষ কোনও জটিলতা তৈরি হতে দেখা যায়নি বলেই জানালেন তাঁর চিকিৎসক। কিছুদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীনে থাকার পর তিনি একেবারে সুস্থ হয়েই বাড়ি ফিরেছিলেন।
এই ঘটনা কি প্রমাণ করে যে সব হার্টের রোগীর ক্ষেত্রে করোনা ততটা ভয়ের না-ও হতে পারে? না কি হার্টের রোগীদের ক্ষেত্রে অন্য কোনও বিশেষ চিকিৎসা আছে, যা পেয়ে এত দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠলেন সৌরভ?
আনন্দবাজার অনলাইনের ‘ভরসা থাকুক’ফেসবুক ও ইউটিউব লাইভে এসে এই সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিলেন চিকিৎসক সৌতিক পান্ডা। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সৌরভের চিকিৎসা করেছেন তিনিই।
ছবি: সংগৃহীত
সৌতিক বলেন, ‘‘সৌরভ যখন কোভিডে আক্রান্ত হয়ে আমাদের কাছে আসেন, তখনও ওমিক্রন এত সক্রিয় ছিল না। তখনও আমরা জানতাম, ডেল্টায় আক্রান্ত হচ্ছেন সকলে। সৌরভের স্বাদ এবং গন্ধের অনুভূতি চলে গিয়েছিল। এই উপসর্গগুলি সাধারণত ওমিক্রনে দেখা যায় না। এগুলি ছাড়াও সৌরভের অন্যান্য শারীরিক সমস্যা দেখে আমরা বুঝেছিলাম যে, ত্তঁর ক্ষেত্রে ডেল্টা হওয়ার আশঙ্কাই প্রবল। ফলে আমরা ঠিক করি যে, সৌরভ ক্ষেত্রে মোনোক্রোনাল অ্যান্টিবডি ককটেল থেরাপি প্রয়োগ করব।’’
এই প্রদ্ধতিতে চিকিৎসা করার কি কোনও ঝুঁকি ছিল? সৌতিকের উত্তর, ‘‘যেকোনও হার্টের রোগী করোনা আক্রান্ত হলেই ঝুঁকি থাকে। তবে আমি এখানে একটা কথা বলব যে, সৌরভের মতো রোগী পাওয়া চিকিৎসকদের জন্য খুবই ভাগ্যের। কারণ তিনি অত্যন্ত বাধ্য পেশেন্ট। নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া করেন।সঠিক সময়ে ঠিক ঠিক ওষুধ খেয়ে নেওয়ার অভ্যাস রয়েছে। সবটাই অত্যন্ত প্রশংসার যোগ্য। সৌরভের জীবনধারা দেখলে অবাক হতে হয়। তবুও যেহেতু বছরখানেক আগেই ওঁর বুকে স্টেন্ট বসেছে,তাই দ্রুত ওঁকে সুস্থ করে তোলা প্রয়োজন ছিল। সেই জন্যেই ককটেল থেরাপির সাহায্য নেওয়া হয়।’’