ত্বকে বিভিন্ন সংক্রমণ দূর করতেও এই বাঁধাকপি দারুণ কাজ করে। ছবি: সংগৃহীত
শীতকাল আসন্ন। এই ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়ায় গরম খিচুড়ির সঙ্গে বাঁধাকপির তরকারির জুড়ি মেলা ভার। তবে গ্যাস-অম্বল হয় বলে অনেকেই আবার বাঁধাকপি এড়িয়ে চলেন। শীত পড়তে এখনও কিছু দেরি। বাজারে সবুজ, কচি বাঁধাকপির পাশাপাশি বেগুনি বাঁধাকপিও দেখা দিতে শুরু করেছে। সবুজ বাঁধাকপির জনপ্রিয়তা নিঃসন্দেহে বেশি। স্বাস্থ্যগুণের দিক থেকে বেগুনি বাঁধাকপিও কিন্তু পিছিয়ে নেই। অনেকেই স্যালাডে ব্যবহার করেন এই বাঁধাকপি। এর স্বাদও মন্দ নয়। শরীর এবং ত্বকের অনেক সমস্যার নিমেষে সমাধান করে এই বাঁধাকপি।
এই বাঁধাকপি খেলে কী কী সুফল মেলে?
অকাল বার্ধক্য রোধ করে
বেগুনি বাঁধাকপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, যা ভিতর থেকে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়িয়ে তোলে। এই বাঁধাকপি ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। এ ছাড়াও ত্বকে বিভিন্ন সংক্রমণ দূর করতেও এই বাঁধাকপি দারুণ কাজ করে।
বেগুনি বাঁধাকপিতে ক্যালোরির পরিমাণ অনেক কম। ছবি: সংগৃহীত
ওজন কমায়
বেগুনি বাঁধাকপিতে ক্যালোরির পরিমাণ অনেক কম। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই সব্জি হতে পারে মোক্ষম অস্ত্র। ডায়েট করেন এমন অনেকেই স্যালাডে এই বাঁধাকপি ব্যবহার করেন। তা ছাড়া এই বাঁধাকপিতে ডায়েটারি ফাইবারের পরিবারের পরিমাণ অনেক বেশি। এই ফাইবার দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করে। ফলে বারে বারে খাবার খাওয়ার আশঙ্কাও থাকে না।
হজমের সমস্যা দূর করতে
হজমের গোলমাল কমানোর অন্যতম হাতিয়ার হল ফাইবার। বেগুনি বাঁধাকপিতে ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি। যা হজমে সহায়তা করে। এ ছাড়াও পরিপাকতন্ত্র সংক্রমণ দূর করতেও বাঁধাকপি দারুণ কার্যকর।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
বেগুনি বাঁধাকপিতে ভিটামিন সি-র পরিমাণ অনেক বেশি। এই ভিটামিন শরীরের শ্বেত রক্তকণিকা তৈরি করে। এই রক্তকণিকা শরীরে জীবাণুর সংক্রমণ দূর করে। রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও এই সব্জির জুড়ি মেলা ভার।
হার্ট ভাল রাখতে
বেগুনি বাঁধাকপিতে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়। যাঁরা নিয়মিত অ্যান্থোসায়ানিন-সমৃদ্ধ সব্জি খান, তাঁদের হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা অনেক কম। এই বাঁধাকপি প্রায় ৩২ শতাংশ পর্যন্ত হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।