রোগা হওয়ার জন্য রাতে উপোস করে থাকা মোটেই সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। ছবি- প্রতীকী
রোগা হওয়া সহজ কথা নয়। এর চটজলদি কোনও উপায় নেই। শরীরচর্চা করা, নির্দিষ্ট ডায়েট মেনে চলা, অফিসের লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি দিয়ে ওঠা, পছন্দের খাবার সামনে দেখেও নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা— রোগা হতে গেলে মেনে চলতে হয় অনেক কিছুই। কিন্তু এটি দীর্ঘমেয়াদি পর্ব। সুফল পেতে বেশ কিছুটা সময় লাগে। এই পর্বে অনেকেই অধৈর্য হয়ে পড়েন। দ্রুত রোগা হতে নিজের মতোই একটি ডায়েট রুটিনও করে নিতে দেখা যায়। ভাত না খাওয়া, খাবারের পরিমাণ একেবারে কমিয়ে দেওয়ার মতো কিছু সিদ্ধান্ত সেই রুটিনে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম যেটি, তা হল রাতে খাবার না খাওয়া। দ্রুত ওজন কমাতে রাতের খাবার বাদ দেওয়া সবচেয়ে রোগা হওয়ার পথে কার্যকর হতে পারে বলে ধারণা অনেকের। পুষ্টিবিদরা অবশ্য উল্টো কথা বলছেন, তাঁদের মতে, রোগা হওয়ার জন্য রাতে উপোস করে থাকা মোটেই সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। এতে ওজন তো কমেই না, বরং বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতার শিকার হতে হয়।
রাতে না খেলে কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে?
১) বাড়ির মা-কাকিমাদের প্রায়ই বলতে শোনা যায়, রাতে না খেলে হাতির দেহও পড়ে যায়। এতটা না হলেও রাতের পর রাত উপোস করে থাকালে শরীর ভিতর থেকে দুর্বল হয়ে পড়ে। শরীরের যে নিজস্ব শক্তি থাকে, তা ধীরে ধীরে কমে যায়।
২) বিপাক ক্রিয়া স্বাভাবিক রাখার পিছনে বড় ভূমিকা আছে রাতের খাবারের। গোটা একটা রাত খালি পেটে থাকার ফলে বদহজম হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। এক টানা এমন চলতে থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্যে হওয়ায় অস্বাভাবিক নয়।
৩) রাতে কী খাচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করে ঘুম কেমন হবে। রাতে উপোস করে থাকলে ভাল ঘুম হবে না। পর্যাপ্ত ঘুমের জন্য পরিমাণে অল্প হলেও রাতে খাবার খাওয়া জরুরি।
৪) পুষ্টিবিদদের মতে, রোগা হওয়া মানে না খেয়ে থাকা নয়। বরং সারা দিন অল্প অল্প করে খাবার খেতে হবে। ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে রাতে না খেয়ে থাকলে স্বাভাবিক ভাবেই সকালে উঠে প্রবল খিদে পাবে। তখন বেশি খেয়ে নেওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাতে আদৌ কোনও সুফল পাওয়া যায় না। তাই খিদে রেখে খেলে চলবে না। সারা দিন ধরে একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর খাবার খেতে হবে।