Intimacy

শরীরী মিলনে অনীহা? উপসর্গহীন কোনও যৌনরোগে ভুগছেন না তো?

নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই যৌনরোগের আশঙ্কা সমান। যৌনরোগ সময়ে ধরা না পড়লে সমস্যা হতে পারে। তবে কিছু যৌনরোগের ক্ষেত্রে উপসর্গ থাকলেও সেগুলি খুব মৃদু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২৩ ১০:১৩
Share:

যৌনরোগের ক্ষেত্রে উপসর্গ থাকলেও, সেগুলি খুবই মৃদু। ছবি: সংগৃহীত।

প্রেমের সম্পর্কে যৌনতা একটি সাধারণ বিষয়। একে-অপরকে নিবিড় করে পাওয়ার মধ্যে আলাদা অনুভূতি কাজ করে। শারীরিক ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কের ভিত আরও মজবুত করে। যৌনতা মানসিক তৃপ্তি দেয়। কিন্তু পাশাপাশি, যৌনস্বাস্থ্য নিয়েও সচেতন থাকা জরুরি। নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই যৌনরোগের আশঙ্কা সমান। তবে কিছু রোগের উপসর্গ মারাত্মক হয়ে গেলে মেয়েদের বন্ধ্যাত্বের কারণ হয়ে উঠতে পারে। অসুরক্ষিত যৌন সংযোগের মাধ্যমে ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাস কিংবা প্যারাসাইট দ্বারা সংক্রমিত হতে পারেন যে কেউ। যৌনরোগের হাত ধরে শরীরে নানা ধরনের ক্ষতি হয়। যৌনরোগ সময়ে ধরা না পড়লে সমস্যা হতে পারে। কিছু যৌনরোগ আছে, যেগুলির কোনও লক্ষণ ফুটে ওঠে না। অনেক সময়ে শারীরিক সমস্যায় অনীহা এই ধরনের সমস্যার একটি লক্ষণ হতে পারে। তবে যৌনরোগের ক্ষেত্রে উপসর্গ থাকলেও, সেগুলি খুবই মৃদু।

Advertisement

ক্ল্যামিডিয়া

ব্যাকটিরিয়াজনিত এই যৌনরোগের ঝুঁকি নারী এবং পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি। তবে মহিলাদের ক্ষেত্রে এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি। ক্ল্যামিডিয়া মূলত উপসর্গহীন হয়ে থাকে। এই রোগে দেহের পেলভিক অংশে প্রদাহজনিত সমস্যা দেখা দেয়। যার ফলে মহিলাদের সন্তানধারণে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।

Advertisement

গনোরিয়া

এই যৌনরোগের কোনও রকম উপসর্গ দেখা দেয় না এবং ক্ল্যামিডিয়ার মতোই এই রোগেরও বাড়বাড়ন্ত বেশি মহিলাদের ক্ষেত্রে। মেয়েদের ক্ষেত্রে ঋতুস্রাবের মাঝামাঝি ‘স্পটিং’ দেখা দিতে পারে। প্রস্রাবের সময়ে জ্বালাভাব এবং অস্বাভাবিক শ্বেতস্রাবও হতে পারে। ঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে এই রোগ জরায়ু এবং ফ্যালোপিয়ন টিউবেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। ‘টিউবাল প্রেগন্যান্সি’-র আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে। ছেলেদের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ উপসর্গহীন হলেও প্রস্রাবের সময়ে জ্বালা করা একটি অন্যতম লক্ষণ হতে পারে।

হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়ান্সি ভাইরাস (এইচআইভি)

এইচআইভি গুরুতর রোগ হলেও নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যাঁরা এইচআইভিতে আক্রান, তাঁদের ‘এড্‌স’ (অ্যাক্যুয়ার্ড ইমিউনো ইমিউনোডেফিসিয়ান্সি সিন্ড্রোম) থাকে। যার ফলে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা তৈরি হতে থাকে। এই রোগের ক্ষেত্রেও তেমন কোনও লক্ষণ সব সময়ে প্রকাশ পায় না।

হার্পিস

হার্পিসে সাধারণত যৌনাঙ্গের চারপাশে চুলকানি, ফোলাভাব এবং ব্যথার মতো কিছু উপসর্গ দেখা যায়। মূলত অসুরক্ষিত যৌন সংযোগে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে। এই রোগ সম্পূর্ণ ভাবে সারানো না গেলেও চিকিৎসার দ্বারা এই রোগের উপসর্গগুলি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব এবং সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পরে, তা-ও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement