অনেকে পেট ফাঁপার সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস কিংবা হজমের বিভিন্ন সমস্যায় ভোগেন। প্রতীকী ছবি।
শীতকাল মানেই জমিয়ে ভূরিভোজ! আজ পিকনিক, কাল বিয়েবাড়ি তো লেগেই থাকে। আর খাওয়াদাওয়ায় একটু এ দিক-ও দিক হলেই পেট ফাঁপার সমস্যায় ভোগেন অনেকে। কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস কিংবা হজমের বিভিন্ন সমস্যা দিনের পর দিন বাড়তে থাকলে হতে পারে সমস্যা, তাই দরকার চটজলদি সমাধান। না বাজারচলতি ওষুধ নয়, রোজের ডায়েটে একটি ফল রাখতে পারলেই হবে মুশকিল আসান!
অনেক দোকানের বিরিয়ানি খাওয়ার সময়ে পাতে পড়ে টক-মিষ্টি ফল আলুবোখরা। মিষ্টি চাটনিতে এই ফল পড়লে স্বাদ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। তবে এ দেশে আলাদা করে ফল হিসেবে আলুবোখরা খাওয়ার চল নেই বললেই চলে। পুষ্টিবিদদের মতে, খাদ্যতালিকায় আলুবোখরা রাখতে পারলেই পেটের নানা সমস্যা থেকে রেহাই মিলতে পারে।
যে কোনও স্যালাড ব্যবহার করা যায় আলুবোখরা। ছবি: সংগৃহীত
আর কী কী স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে এই ফলের?
১) ফলে মহিলাদের বয়স বছর পঞ্চাশ পেরোলেই তাঁরা নানা হাড়-সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগতে শুরু করেন। গাঁটের ব্যথা, বাতের ব্যথা এই বয়েসের মহিলাদের লেগেই থাকে। সামান্য আঘাতেই হাড় ভেঙে যাওয়ার মতো সমস্যায় পড়তে হয়। ব্যথা হওয়ায় হাঁটতে-চলতেও নানা সমস্যা হয়ে থাকে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, আগে থেকেই নিয়মিত আলুবোখরা খাওয়ার অভ্যাস থাকলেই লাগাম থাকবে এই সমস্যায়। আলুবোখরায় বোরন, পটাশিয়াম ও ভিটামিন কে ভরপুর মাত্রায় থাকে যা হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে দারুণ উপকারী।
২) শীতকালে জ্বর-সর্দি-কাশি লেগেই থাকে। এই সময়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে রোজের ডায়েটে আলুবোখরা রাখতেই পারেন। এই ফল অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর। তাই ভাইরাস ও ব্যাক্টেরিয়ার হানা থেকে বাঁচতে এই ফল খেতেই পারেন।
৩) এই ফলে ভাল মাত্রায় ফাইবার থাকে। এ প্রকার দ্রবণীয় ফাইবার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাই কোলেস্টেরল থাকলে ডায়েটে এই ফল রাখা ভাল। হৃদ্যন্ত্র সুস্থ রাখতেও এই ফল উপকারী।
কী ভাবে খাওয়া যায়?
যে কোনও স্যালাড ব্যবহার করা যায় আলুবোখরা। খিদে পেলে স্ন্যাকস হিসেবেও খেতে পারেন এই ফল। তা ছাড়া স্মুদিতেও এটি ব্যবহার করা যেতে পারে, খেতে মন্দ লাগবে না। এ ছাড়াও এক গ্লাস জলে একটা আলুবোখরা ভিজিয়ে রেখে পরের দিন জলসমেত ফলটি খেয়ে ফেলতে পারেন।