না খেয়ে নয়, খেয়েই কমবে ওজন। ছবি: সংগৃহীত।
সকাল শুরু করছেন কী ভাবে, তার উপর নির্ভর করছে সারা দিন শরীরের হাল কেমন থাকবে। তাড়াহুড়ো করে অফিস যাওয়া, তার পর অফিসের বিপুল চাপ তার হাত ধরে মানসিক উদ্বেগ— সব মিলিয়ে ক্লান্তি যেন ঘিরে ধরে। বাড়ি ফিরতেই জমিয়ে সিনেমা দেখতে বসার বদলে ঘুমে চোখ ঢুলে আসে। এমন ভাবেই কেটে যায় অনেকগুলি দিন। তাই সকাল শুরু করতে হবে একটু অন্য ভাবে। সকালের রুটিনের উপর নির্ভর করে ওজন আদৌ বশে থাকবে কি না। বিপাকহার বাড়িয়ে তোলাও ওজন কমানোর একটি উপায়। এমন কিছু খাবার আছে, যা রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেলে বাড়বে বিপাকহার, ঝরবে ওজন।
চিয়া বীজ: চিয়া বীজের প্রায় অর্ধেকটা জুড়েই রয়েছে ফাইবার। যা অন্ত্রের জন্য ভাল। অন্ত্রের সঙ্গে যেহেতু বিপাকক্রিয়ার যোগ রয়েছে, তাই শারীরবৃত্তীয় অনেক কর্মকাণ্ডই স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে চিয়া। জলে ভেজার পর এই চিয়া বীজগুলি বেশ ভারী হয়ে যায়। তাই অনেক ক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তি থাকে। বার বার খাবার খাওয়ার প্রবণতা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখে এই বীজ। তাই অতিরিক্ত ক্যালোরি যাওয়ার ভয়ও থাকে না।
তিসির বীজ: হজমের সমস্যা থাকলে তা নিরাময় করবে ফ্ল্যাক্স সিড বা তিসি বীজ। সারা রাত জলে তিসির বীজ ভিজিয়ে রাখলে তার পুষ্টিগুণ অনেক বে়ড়ে যায়। তিসির বীজে ভাল মাত্রায় ফাইবার ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে। ওজন ঝরাতে এই দুই উপাদান ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।
কাঠবাদাম: রোগা হওয়ার জন্য অনেকেই ভরসা রাখেন এই বাদামের উপর। কাঠবাদাম পেট ভর্তি রাখে দীর্ঘ ক্ষণ। ফলে বার বার খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে। এ ছাড়া, কাঠবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। ফলে হজমক্ষমতা বৃদ্ধিতেও এর জুড়ি মেলা ভার। রোজ সকালে ভেজানো কাঠবাদাম খেয়ে দিন শুরু করলে ওজন ঝরার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়।
যাঁরা ওজন কমানোর পরিকল্পনা করছেন, তাঁরা রোজ সকালে ওট্স খেতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
ওট্স: বানানোর পদ্ধতিও সহজ এবং পুষ্টিকর। যাঁরা ওজন কমানোর পরিকল্পনা করছেন, তাঁরা রোজ সকালে ওট্স খেতে পারেন। এই খাবার দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভর্তি রাখে। ওট্সে ক্যালোরির মাত্রাও অত্যন্ত কম। এতে প্রচুর ফাইবার আছে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে ওট্স খেলে। সারা রাত ওট্স ভিজিয়ে রেখে সকালে তার সঙ্গে কিছু ড্রাইফ্রুট্স মিশিয়ে খেতে পারেন।