ত্বকেও বাসা বাঁধতে পারে ক্যানসার। ছবি: শাটারস্টক।
অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত প্রসাধনীর বহুল ব্যবহার এবং ত্বকের যত্নে অনীহা— এই সব কারণ ত্বকের ক্যানসারের ঝুঁকি ক্রমশ বাড়িয়ে দিচ্ছে। ক্যানসার শরীরের যে কোনও অঙ্গে হতে পারে। অঙ্গভেদে ক্যানসারের লক্ষণও আলাদা হয়। ত্বকের ক্যানসারের বেশ কয়েকটি উপসর্গের মধ্যে অন্যতম হল ঘাড়ে, মুখে এবং কানের কাছে মাংসপিণ্ড তৈরি হওয়া। চিকিৎসার পরিভাষায় একে বলা হয় ‘বেসাল কার্সিনোমা’। মূলত সূর্যের আলো শরীরের যে সব অংশে স্পর্শ করে, সেই অঙ্গগুলিতেই এই ধরনের উপসর্গগুলি দেখা যায়। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের ক্যানসারের অন্যতম বড় কারণ। অনেকে মনে করেন ত্বকে আঁচিল বেরোলে তা আদতে ক্যানসারের উপসর্গ। এমনটা কিন্তু নয়। শরীরের কিছু অংশে আঁচিল দেখা দিলে তা নিয়ে চিন্তার কারণ নেই। যদি আঁচিল ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকে, তবে তা ত্বকের ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।আঁচিল না ক্যানসার, তা বোঝা সাধারণ মানুষের পক্ষে সহজ নয়। তাই ঝুঁকি না নিয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়াই ভাল।
কোন কোন উপসর্গ দেখলে সতর্ক হবেন?
বিভিন্ন কারণে ত্বকের নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। তবে ত্বকের ক্যানসারের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিশেষ লক্ষণ প্রকাশ পায়।
১) বাদামি, কালো বা গাঢ় নীল রঙের কোনও দাগ হঠাৎ দেখা দিলে।
২) ত্বকের উপর মোমের মতো সাদা রঙের কোনও মাংসপিণ্ড, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পায়।
৩) কোনও ক্ষত, যেখান থেকে রক্তপাতও হতে পারে।
৪) ত্বকে কোনও অংশে দাগ দেখা দিলে আর সেই দাগের স্থানে যদি ক্রমাগত চুলকানি হয়, আর ব্যথা হয়।
৫) সারা গায়ে আঁচিলের মতো মাংসপিণ্ড ছড়িয়ে পড়লে।
উপরিউক্ত যে কোনও একটি সমস্যা যদি ঘাড়, কান বা মুখের কোনও অংশে দেখতে পান, তা হলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
গ্রীষ্মকালে তো বটেই, শীতকালেও বাড়ি থেকে বেরোলে অতি অবশ্যই ব্যবহার করুন সানস্ক্রিন। ছবি: সংগৃহীত।
কী ভাবে সুরক্ষা নেবেন?
১) সূর্যের আলো থেকে প্রাপ্ত ভিটামিন ডি শরীরের একটি অপরিহার্য উপাদান। তবে সূর্যের তীব্র আলোর সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন।
২) গ্রীষ্মকালে তো বটেই, শীতকালেও বাড়ি থেকে বেরোলে অতি অবশ্যই ব্যবহার করুন সানস্ক্রিন। এমনকি, আকাশ মেঘলা থাকলেও সানস্ক্রিন মেখে বেরোনোই ভাল।
৩) ত্বক উজ্জ্বল করার ক্রিম, মাথার রং, এই সব ব্যবহারের আগে উপকরণগুলি খুব ভাল করে দেখে নেবেন। না হলে কিন্তু এই সব থেকেই ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়ে।
৪) ত্বকে হঠাৎ করে কোনও দাগ বা মাংসপিণ্ডের আবির্ভাব ঘটলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন।