মুখে-চোখে ফোলা ভাব, কমবে কী ভাবে? —প্রতীকী ছবি।
সকালে ঘুম থেকে উঠলে মুখ-চোখ ফোলা লাগে অনেকের। আবার ধীরে ধীরে ঠিকও হয়ে যায়। কিন্তু মুখ-চোখের ফোলা ভাব না কমলেই সমস্যা। এর সমাধান লুকিয়ে রয়েছে দৈনন্দিন জীবন যাপনেই। অনেক সময়েই সঠিক খাওয়াদাওয়ার অভাবে, অতিরিক্ত ওজন, ঘুম না হওয়া-সহ একাধিক কারণে মুখ-চোখে ফোলা ভাব দেখা যায়। এমনটা হলে দেখতে মোটেই ভাল না। জেনে নিন, কী ভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন?
জল পান
শরীর সুস্থ রাখতে জল খাওয়া জরুরি। শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপ সঠিক ভাবে সম্পন্ন করতে পর্যাপ্ত জলের প্রয়োজন। জল কম খেলে শরীরে দূষিত পদার্থ, সোডিয়াম জমতে থাকে। যার ফলে মুখ-চোখে ফোলা ভাব চলে আসে। পর্যাপ্ত জল খেলে শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যায়। তাই এক জন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে অন্তত ২ থেকে ৩ লিটার জল খাওয়া দরকার।
মাসাজ
মুখের মাসাজ বা ফেসিয়াল করলে রক্ত সঞ্চালন যেমন ভাল হয়, তেমনই মুখে বা ত্বকে জমে থাকা দূষিত পদার্থ বা তরল বেরিয়ে যায়। সঠিক পদ্ধতিতে মাসাজে চোখের নীচে, গালের ফোলা খানিকটা কমতে পারে। এতে ত্বক টানটান হয়, জেল্লা বৃদ্ধি পায়।
নুন
অতরিক্ত নুন খাওয়ার প্রবণতা শুধু মুখ নয়, শরীর ফুলে যাওয়ার নেপথ্যে দায়ী হতে পারে। অতিরিক্ত চিনি ও নুন যুক্ত খাবার ওজন বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি, নুনে থাকা বাড়তি সোডিয়াম শরীরে জমতে থাকে। যার জেরে মুখ-চোখ ফোলা দেখাতে পারে। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম বার করতে সাহায্য করে।
পর্যাপ্ত ঘুম
ঠিকমতো ঘুম না হলেও মুখ-চোখ ফোলা দেখায়। ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম শরীরের জন্য খুব জরুরি। ওজন কমানো থেকে হজম ভাল হওয়ার জন্য ঘুম জরুরি। দিনের পর দিন ঘুম ঠিক না হলে মুখে-চোখে তার প্রভাব পড়ে।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। মুখ-চোখের ফোলা ভাবের ক্ষেত্রে এই শর্তগুলি পালনের পরেও না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।