মাঝেমধ্যেই চোখের তলার কালচে দাগ চোখের সৌন্দর্যকে ম্লান করে।
সুন্দর নয়নজোড়া সব সময়ই আকর্ষণীয়। চোখকে সুন্দর ও সুস্থ রাখতে সকলেই চান। তবে মাঝেমধ্যেই চোখের তলার কালচে দাগ চোখের সৌন্দর্যকে ম্লান করে। তখন সেই কালচে দাগ ঢাকতে মেক আপই ভরসা। এই কালচে দাগ কিন্তু কেবল সৌন্দর্যেরই অন্তরায় নয়, শরীরে কোনও অসুস্থতার কারণে বা কম ঘুম থেকেও এই দাগ পড়ে।
শরীরে আয়রনের ঘাটতি,অতিরিক্ত মানসিক চাপ, ক্লান্তি— ইত্যাদি কারণেও চোখের তলায় কালচে দাগ দেখা দিতে পারে।
জীবনধারায় কিছু পরিবর্তন আনলেই এই দাগের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে। ভাবছেন কী ভাবে?
১) রাত জেগে কাজ করার অভ্যাস কিংবা সারা দিনে ক্লান্তি কাটাতে মোবাইলের পর্দায় চোখ রেখে রাতের পর রাত ওয়েব সিরিজ দেখা— এই অভ্যাসের কারণে ঘুমের বারোটা বাজে। দিনে অন্তত আট ঘণ্টার ঘুম কিন্তু ভীষণ জরুরি। নইলে শরীরে নানা প্রকার রোগ বাসা বাঁধবে আর সঙ্গে চোখের তলায় কালিও পড়বে।
২) শরীরে জলের ঘাটতি হলে শরীর নিজেই সে কথা জানান দেয়। চোখের তলায় কালচে ভাব, ফোলাভাব শরীরে জলের ঘাটতির লক্ষণ হতে পারে। তাই রোজের ডায়েটে যেন পর্যাপ্ত মাত্রায় জল থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রতীকী ছবি।
৩) ডায়েটে নুনের মাত্রার উপর রাশ টানতে হবে। শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে জলশূন্যতা তৈরি হয়। ফলে চেখের তলায় কালি জমলে সেই দাগ সহজে ওঠেও না। তাই প্যাকেটজাত ও প্রক্রিয়াজাত খাবার ও খাওয়ার পাতে কাঁচা নুন না খাওয়াই শ্রেয়।
৪) অতিরিক্ত ধূমপানের কারণেও চোখের তলায় কালি পড়তে পারে। ধূমপানের অভ্যাস ত্বক শুষ্ক করে, ত্বকে মেলানিন, ইলাস্টিন ও কোলাজেন উৎপাদনে বাধা তৈরি করে।
৫) শরীরচর্চা করলে কেবল সুস্বাস্থ্য পাওয়া যায় এমনটা নয়, ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্যেও শরীরচর্চার প্রয়োজন হয়।
শরীরচর্চা করলে শরীরে এবং ত্বকে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বাড়ে। তাই নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস চোখের তলার কালি ভাব মেটাতে পারে। সঙ্গে ত্বকে বয়েসের ছাপ লুকিয়ে রাখতেও এর কোনও জুড়ি নেই।
৫) ডায়েটে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ালে চোখের তলায় কালচে ভাব দূর হবে। ডার্ক চকোলেট, সিট্রাস-ফল, বিট,গাজর, পালংশাকে ভাল মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। আর স্যামন, টুনা ইত্যাদি মাছ, দানাশস্য, আখরোট, আমন্ড শরীরে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ঘাটতি মেটাতে পারে।