শরীর পর্যাপ্ত পুষ্টি পাচ্ছে তো? ছবি: সংগৃহীত।
ঠিক করে খাওয়াদাওয়া না করলে সুস্থ থাকা সম্ভব নয়। ভিতর থেকে ফিট থাকতে নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া করা জরুরি। কিন্তু এই ব্যস্ততম জীবনে অফিস আর বাড়ি একসঙ্গে সামলাতে গিয়ে হিমসিম খান অনেকেই। এক দিকে খাওয়ার সময়, অন্য দিকে আবার রোগা হওয়ার জন্য ডায়েট— সব মিলিয়ে পর্যাপ্ত খাবার পায় না শরীর। সঠিক পুষ্টিও মেলে না। ফলে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। অনেক সময় পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব ঘটে। কিন্তু বাইরে থেকে তা বোঝা যায় না। তবে কিছু লক্ষণ বলে দেবে যতটা প্রয়োজন তার তুলনায় কম খাবার খাচ্ছেন।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা
অনেক সময় নানা রকম ডায়েট করতে গিয়ে অনেকেই কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে চলেন। কিংবা অজান্তেই হয়তো খাবারে ফাইবারের পরিমাণ কম হচ্ছে। তাতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে যায়। কোনও কারণ ছাড়াই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিলে সতর্ক হওয়া জরুরি।
রক্তচাপ কমে যাওয়া
রক্তচাপ যদি হঠাৎ করে কমে যায়, অনেকে সেটাকে ডায়াবিটিস বলে ভুল করেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে অনেকেরই খিদের কারণে মাথা ঘুরতে পারে। রক্তচাপ হঠাৎ কমে গেলে এমন হতেই পারে। প্রত্যেক দিন যদি আপনি অনেক বেলা পর্যন্ত না খেয়ে থাকেন, তা হলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়বেনই। এতে শরীরে হরমোনের ভারসাম্যও নষ্ট হতে পারে।
কম খাওয়ার একটি লক্ষণ খিদে না পাওয়া। ছবি: সংগৃহীত।
খিদে কম পাওয়া
কম খাওয়ার আরও একটি লক্ষণ খিদে না পাওয়া। শরীরে যখন খাবারের প্রয়োজন হয়, তখন মস্তিষ্ক সঙ্কেত পাঠায় যে খিদে পেয়েছে। এই সঙ্কেত যদি আপনি দীর্ঘ সময় অবেহলা করেন, কিছুই না খেলে তা হলে শরীরও একটা সময়ে পর সেই ইঙ্গিত দেওয়া বন্ধ করবে। তখন কোনও খিদে পাবে না। তাতে আরও বেশি সমস্যা দেখা দেবে।