ভিটামিন ডি-এর অভাব হচ্ছে না তো? ছবি: সংগৃহীত।
হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে গেলে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকা প্রয়োজন। শরীরের জন্য অপরিহার্য ভিটামিন ডি শরীরের অভ্যন্তরেই উৎপন্ন হয়। ক্যালশিয়াম এবং ফসফরাস শোষণে সাহায্য করে এই ভিটামিন। এ ছাড়াও শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে, বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এমনকি, হাড় ও দাঁতের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশকেও সহজ করে তোলে ভিটামিন ডি। বিভিন্ন গবেষণাতে দেখা গিয়েছে, ক্যানসারের মতো মারণরোগের ক্ষেত্রে প্রতিরোধ গড়ে তুলতেও সাহায্য করে ভিটামিন ডি। এই ভিটামিনের প্রাকৃতিক উৎস হল সূর্যালোক। বছরের অন্যান্য সময়ের চাইতে শীতকালে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দেখা যায় বেশি। শুধু হাড়ের যন্ত্রণা নয়, সাধারণ কিছু উপসর্গ কিন্তু ভিটামিন ডি-এর অভাবে দেখা দিতে পারে।
১) ক্ষত সারতে সময় লাগে
ভিটামিন ডি-এর অভাব হলে চোট, আঘাত সারতে বেশ সময় লাগে। ক্ষতস্থানে নতুন কোষ তৈরি করতে ভিটামিন ডি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২) দুর্বলতা, ক্লান্তি
শক্তির বিপাকক্রিয়ায় ভিটামিন ডি-এর ভূমিকা রয়েছে। এই ভিটামিনের অভাব থাকলে খুব বেশি কায়িক পরিশ্রম না করলেও ক্লান্তি ঘিরে ধরতে পারে।
৩) বার বার সংক্রামিত হওয়া
ভিটামিন ডি-এর গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ হল দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তোলা। তাই শরীরে এই ভিটামিনের অভাব দেখা দিলে বার বার ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া দ্বারা সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
ভিটামিন ডি-এর অভাব থাকলে চুল পড়ার পরিমাণ বাড়ে। ছবি: সংগৃহীত।
৪) অত্যধিক চুল পড়া
শীতকালে এমনিতেই চুল পড়ার পরিমাণ বাড়ে। তবে বিশেষ কোনও কারণ ছাড়াই যদি চুল পড়ার পরিমাণ অত্যধিক হারে বেড়ে যেতে থাকে, তা হলে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া ভাল।
৫) অবসাদ
ভিটামিন ডি-এর অভাব থাকলে মানসিক চাপ, উদ্বেগের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। অকারণেই মন-মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকতে পারে।