Prostate Cancer

প্রস্টেট ক্যানসারে ভুগছেন না তো? কোন লক্ষণগুলি দেখে চিনে নেবেন এই রোগ?

সময় মতো চিহ্নিত করা গেলে ৯৬ শতাংশর ক্ষেত্রেই প্রস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর প্রাণ বাঁচানো যায় । তাই এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলি সম্পর্কে সতর্ক থাকা আবশ্যিক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২২ ১২:৩৮
Share:

প্রাথমিক পর্যায়ে প্রস্টেট ক্যানসারের লক্ষণগুলি চিনতে পারা যায় না। প্রতীকী ছবি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) অনুসারে, ফুসফুসের ক্যানসারের পরেই পুরুষরা সবচেয়ে বেশি যে ক্যানসারে আক্রান্ত হন, তা হল প্রস্টেট ক্যানসার। এমনিতে এই ক্যানসার প্রাথমিক স্তরে ধরা পড়লে ভয় থাকে না। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রাথমিক পর্যায়ে প্রস্টেট ক্যানসারের লক্ষণগুলি চিনতে পারা যায় না। তাই যখন সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করে ও রোগ নির্ণয় করা হয়, তখন রোগীকে বাঁচানো প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।

Advertisement

চিকিৎসকদের মতে, বয়স ৫০ পেরলে এই অসুখের আশঙ্কা বাড়ে। ‘পিএসএ টেস্ট’ বা ‘প্রস্টেট স্পেসিফিক অ্যান্টিজেন টেস্ট’ করে এই রোগ নির্ণয় করা হয়। সাধারণত রক্তে ‘পিএসএ’-র মাত্রা ১ থেকে ৪-এর মধ্যেই থাকে। অনেক সময় পরীক্ষা করে দেখা যায় কারও কারও রক্তে ‘পিএসএ’-র মাত্রা ৪-এর বেশি রয়েছে। এই মাত্রা ৪ ছাড়ালেই অসুখ বাসা বেঁধেছে ধরে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। বরং নিশ্চিত হতে ‘ডিজিটাল রেক্টাল টেস্ট’ করাতে হয়। তাতে যদি কোনও রকম স্ফীতি লক্ষ করা যায়, তা হলে বায়োপসি করানো হয়। সময় মতো চিহ্নিত করা গেলে ৯৬ শতাংশর ক্ষেত্রেই বাঁচানো যায় রোগীর প্রাণ। তাই এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলি সম্পর্কে সতর্ক থাকা আবশ্যিক।

Advertisement

প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণে সমস্যা

প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারা কিংবা প্রস্রাব পেলে ঠিক ভাবে মূত্রত্যাগ করতে না পারা এই রোগের অন্যতম প্রাথমিক লক্ষণ। পাশাপাশি, এই রোগে বড় হয়ে যেতে পারে মূত্রস্থলীর প্রস্টেট গ্রন্থির আয়তনও।

বার বার মূত্র ত্যাগের প্রবণতা

বার বার প্রস্রাব পাওয়া প্রস্টেট ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। বিশেষত, রাতের দিকে বার বার মূত্রত্যাগের প্রবণতা দেখা যায় আক্রান্তের। প্রস্রাব ত্যাগের প্রবণতায় যে কোনও রকম পরিবর্তন এলেই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

মূত্রত্যাগের সময়ে ব্যথা

মূত্রত্যাগের সময়ে ব্যথা হওয়া মোটেই ভাল লক্ষণ নয়। মূত্রত্যাগের সময়ে ব্যথা বা জ্বালা হওয়া একাধিক রোগের লক্ষণ হতে পারে। প্রস্টেট ক্যানসারও তার ব্যতিক্রম নয়।

 কোমরের নীচের দিকে একাধিক কারণে ব্যথা হতে পারে। প্রতীকী ছবি।

রক্ত

মূত্রের সঙ্গে রক্তপাত হওয়াকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘হিমাচুরিয়া’। মূত্রের সঙ্গে রক্তপাত হলে বা মূত্রের রং লাল, গোলাপি কিংবা গাঢ় বাদামি হয়ে গেলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

পিঠ ও কোমরে যন্ত্রণা

কোমরের নীচের দিকে একাধিক কারণে ব্যথা হতে পারে। তাই এই সমস্যা অবজ্ঞা করার প্রবণতা বিরল নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পিঠের নীচের দিক, কোমর, নিতম্ব, কুচকি ও থাইয়ের ব্যথা প্রস্টেট ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। বিশেষত, বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই উপসর্গটি অনেক বেশি দেখা যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement