অতিরিক্ত আদার ব্যবহার ও শুকনো আদা খাওয়ার নেশা শরীরে ক্ষতি ডেকে আনে। ছবি: সংগৃহীত
নিরামিষ কিংবা আমিষ— রান্নায় আদা না দিলে যেন আসল স্বাদ খুলতে চায় না। পাশাপাশি সর্দি-কাশিতে আদা চা দারুণ উপকারী। নাক বন্ধ থেকে মাথা ধরা— আদা চায়ে চুমুক দিলেই সব সমস্যা যেন দূর হয়ে যায়। শীতে অনেকেই আদা দিয়ে আচার বানান। পরোটার সঙ্গে কিংবা শেষ পাতে— এই আচার একটু মুখে দিলে আলাদা একটা অনুভূতি হয়। আদা শরীরের পক্ষে স্বাস্থ্যকর। এর উপকারী গুণ কম নেই। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত আদা খেলে বাড়তে বাড়ে বিপদ। আদাতেও এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা শরীরে বিপরীত প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। বিশেষ করে রান্নায় অতিরিক্ত আদা ব্যবহার ও শুকনো আদা খাওয়ার নেশা শরীরে ক্ষতি ডেকে আনে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত আদা শরীরে গেলে কী কী সমস্যা হতে পারে?
পেটের সমস্যা
আদা এমনিতে শরীরের খেয়াল রাখে। কিন্তু বেশি খেলে আবার পেটের স্বাস্থ্য বিগড়ে যেতে পারে। আদায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা অতিরিক্ত পরিমাণে শরীরে প্রবেশ করলে শরীর গরম হয়ে যেতে পারে। তা থেকেই পেটে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মাত্রাতিরিক্ত আদা খেলে বাড়তে বাড়ে বিপদ। ছবি: সংগৃহীত
মুখের ভিতর অ্যালার্জি
খুব কাশি হলে অনেকেই মুখের ভিতর আদার টুকরো রাখেন। আদার রস গলায় পৌঁছলে খুসখুসে ভাব অনেকটা কাটে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, বেশি ক্ষণ আদার টুকরো মুখের ভিতরে রাখলে অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে আগে থেকেই কারও অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে, আদা না খাওয়াই ভাল।
গ্যাস-অম্বল
বেশি আদা খেলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা লেগেই থাকে। গ্যাসের সমস্যা নিয়ে যাঁরা ভুগছেন, আদা আছে এমন খাবার তাঁদের এড়িয়ে চলাই ভাল। তাতে অম্বল হওয়ার আশঙ্কা অনেক কম থাকে।