এলাচ খেলে শরীরের নানা রকম সমস্যার সমাধান মিলতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
বিরিয়ানি হোক কিংবা কষা মাংস— ফোড়নে এলাচ না পড়লে রান্নার মোটেই স্বাদ আসে না। পায়েসেও এলাচ পড়লে তার স্বাদ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। মশলা চা হোক বা সাধারণ দুধ-চা— দু’টি এলাচ দিয়ে দিলেই স্বাদ অনেক বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, খাওয়ার পর আবার অনেকেই মুখশুদ্ধি হিসাবে এলাচ খান। অনেকের আবার খাওয়ার সময়ে এলাচ মুখে পড়লে মেজাজটাই বিগড়ে যায়!
এলাচ অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর। ছবি: সংগৃহীত।
জানেন কি, রান্না ছাড়াও নিয়মিত একটি করে এলাচ খেলে শরীরের নানা রকম সমস্যার সমাধান মিলতে পারে?
১) নিয়মিত পেটের সমস্যায় ভোগেন? এলাচ বিপাকতন্ত্রকে সক্রিয় রাখে এবং হজমে সাহায্য করে। গরমে বুকজ্বালা, বমি বমি ভাব থেকে মুক্তি পেতে এলাচ মুখে দিন।
২) শরীর থেকে টক্সিন পদার্থ দূর করতেও এলাচ সাহায্য করে। সকলেই চান বয়স ধরে রাখতে। ত্বকে বয়সের ছাপ ঠেকিয়ে রাখতে অনেকেই অনেক কিছু করেন। নিয়মিত সকালে খালি পেটে এলাচ ভেজানো জল খেলেও ত্বক টান টান হয়, বলিরেখা কমে।
৩) শ্বাসকষ্টের সমস্যায় নাজেহাল হতে হয়? রোজ নিয়ম করে মধু, লেবুর রস ও গরম জলের সঙ্গে একটা এলাচ মিশিয়ে দিয়ে পান করলে শ্বাসকষ্ট দূর হবে। ফুসফুস সংক্রমণ এড়াতে চাইলে এলাচ খুবই উপকারী।
৪) হৃদ্রোগ নিরাময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এলাচের। এটি হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিক রাখে, ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ ছাড়া, এলাচ রক্তসঞ্চালনেও সহায়ক। প্রতি দিন এলাচ খেলে রক্তের ঘনত্ব সঠিক থাকে।
৫) মুখে খুব বেশি দুর্গন্ধ হয়? একটি এলাচ নিয়ে চিবোতে থাকুন। এলাচ মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়াগুলিকে ধ্বংস করে। এ ছাড়াও মাড়ির সংক্রমণ, মুখের ফোড়া-সহ দাঁত ও মাড়ির সমস্যা দূর করতেও এলাচ কার্যকর।
৬) অনেক সময়ে ভারী কোনও জিনিস তুলতে গেলেই পেশিতে টান ধরে। এ ক্ষেত্রে ছোট বা বড় এলাচ গরম জলে ফুটিয়ে খেলে তত্ক্ষণাত্ উপশম হয়।
৭) এলাচ অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর। সর্দি-কাশির সমস্যাতেও এলাচ খেলেই সুফল পাবেন। যাঁদের ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে তাঁরা রোজ এলাচ-জল খেলে উপকার পাবেন।