উপকারী বলে পরিমাণে বেশি ঘি খেলে কিন্তু হবে না, খেতে হবে নিয়ম মেনে। ছবি: সংগৃহীত।
গরম ভাতে এক ফোঁটা ঘি দিলে তার গন্ধেই খাওয়া হয়ে যায়। তবে ঘি যে শুধুই স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় তা নয়। ঘিয়ের পুষ্টিগুণ অনেক। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন, বিভিন্ন খনিজে ভরপুর ঘি হাড়, ত্বক, চুলের যত্ন নেয়। শুধু কি তাই? মেদ ঝরানো থেকে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তুলতেও ঘিয়ের ভূমিকা রয়েছে। তবে উপকারী বলে পরিমাণে বেশি ঘি খেলে কিন্তু হবে না। খেতে হবে নিয়ম মেনে। গরম ভাতে ঘি খাওয়ার চল রয়েছে অনেক বাড়িতেই। তবে উপকার পেতে নির্দিষ্ট কিছু খাবারে সঙ্গে ঘি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদেরা।
১) রুটির উপর ঘি
ডায়েট করেন তাই ভাত খান না। তবে স্বাস্থ্যের জন্যে রুটিতে ঘি মাখিয়েও খাওয়া যায়। তবে ঘিয়ে ভাজা পরোটা বা লুচি কিন্তু খাওয়া যাবে না।
২) সব্জি স্যতেঁ করতে
জিম থেকে ফিরে সেদ্ধ বা স্যতেঁ করা সব্জি খান অনেকেই। সামান্য ঘিয়ের মধ্যে যদি এই সব্জি একটু নাড়িয়ে নেওয়া যায়, তার স্বাদ যেমন উন্নত হয়, তেমন স্বাস্থ্যও ভাল থাকে।
৩) স্যুপ কিংবা ডালে
শীতে বিভিন্ন সব্জি কিংবা মুরগির মাংস দিয়ে তৈরি স্যুপ খেয়ে থাকেন অনেকেই। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, স্যুপের উপর মাখলের বদলে সামান্য একটু ঘি দিয়ে খাওয়া যেতে পারে। স্যুপের বদলে ডালেও একই ভাবে যোগ করতে পারেন ঘি।
৪) বিকেলের জলখাবারে
অনেকে স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই বিকেলের অল্প খিদে মেটান বাড়িতে তৈরি ভুট্টার খই কিংবা সেদ্ধ ভুট্টা খেয়ে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, সামান্য ঘি ছড়িয়ে নিলে এই দুটি খাবার আরও স্বাস্থ্যকর হয়ে উঠতে পারে।
৫) কাঁচা হলুদ এবং ঘি
ঠান্ডায় সংক্রমণজনিত সর্দি-কাশি সারিয়ে তুলতে এব ভিতর থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে ঘি খেতে পারেন কাঁচা হলুদ দিয়ে। অনেকে দুধ কিংবা চায়ের মধ্যেও এই মিশ্রণ দিয়ে খেয়ে থাকেন।