ঝুঁকি এড়াতে এই যন্ত্র ব্যবহার করার সময় সতর্ক থাকাই শ্রেয়। ছবি: সংগৃহীত।
হোলির দিন স্নানঘরে একসঙ্গে মৃত্যু হয় এক দম্পতির। ময়নাতদন্তের পর জানা যায়, গিজ়ার থেকে লিক করে গ্যাস বেরোনোর কারণে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। পুলিশ সূত্রের খবর, স্নানঘরে কোনও জানলা কিংবা ভেন্টিলেটর ছিল না। ফলে অক্সিজেনের অভাবে শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে। গাজ়িয়াবাদের এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন অনেকেই। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে মুম্বইতেও। জল গরম করার জন্য গিজ়ার চালিয়েছিলেন, তখনই ঘটে দুর্ঘটনা।
ঝুঁকি এড়াতে এই যন্ত্র ব্যবহার করার সময়ে সতর্ক থাকাই শ্রেয়। কারণ গ্যাস গিজ়ারগুলি জল গরম করার জন্য ‘এলপিজি’ ব্যবহার করে। ফলে এই যন্ত্রে কার্বন মোনো-অক্সাইড নির্গত হয়। যা অত্যন্ত বিপজ্জনক। গিজ়ারে থাকা এই কার্বন মোনো-অক্সাইডের যন্ত্র কোনও কারণে লিক করলে কয়েক মুহূর্তের মধ্যে এক জন মানুষ নিশ্বাস নিতে না পেরে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলতে পারেন। ওই পরিবেশে খুব বেশি ক্ষণ থাকলে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটতে পারে। কার্বন মোনো-অক্সাইড ফুসফুসে চলে যাওয়া মানে, তা মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠতে পারে। তাই এমন আকস্মিক বিপদ এড়াতে দু’টি বিষয়ের উপর নজর রাখা জরুরি। স্নানঘরে যাতে বায়ু চলাচল করতে পারে, তার জন্য একটি জানলা থাকতে হবে। গিজ়ার ব্যবহারের ক্ষেত্রে যত্নবান হতে হবে।
১) নতুন গিজ়ার লাগানোর সময়ে সঠিক ভাবে সংযোগ হয়েছে কি না, গিজ়ারের পাইপের সংযোগ ঠিক হয়েছে কি না, সে দিকে নজর রাখুন। পাইপগুলি লোহার হলে বেশি ভাল হয়।
২) গিজ়ার স্বয়ংক্রিয় ভাবে কাজ করে। অর্থাৎ, বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার পর জল গরম হয়ে গেলে নিজে থেকেই তা বন্ধ হয়ে যায়। বাড়ির গিজ়ারটি স্বয়ংক্রিয় ভাবে কাজ করছে কি না, সে দিকে খেয়াল রাখুন।
৩) গিজ়ারে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জল গরম হয়ে যায়। খেয়াল রাখুন তা হচ্ছে কি না। না হলে বুঝবেন গিজ়ারে কোনও গোলযোগ হয়েছে।
৪) জল গরম হয়ে গেলে গিজ়ারটি বন্ধ রাখুন। এতে যেমন বিদ্যুতের সাশ্রয় হবে, তেমনই গিজ়ারটিও দীর্ঘ দিন ভাল থাকবে।
৫) গরম হয়ে গেলে সব জল গিজ়ার থেকে বার করে নিন। জল মজুত হতে থাকলে গিজ়ারে আয়রন জমে গিয়ে তা দ্রুত বিকল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। ত্রুটিযুক্ত গিজ়ার থাকলে তা দ্রুত ঠিক করার ব্যবস্থা করুন। না হলে এটি ব্যবহারের ফলে বিপদ ঘটতে পারে।