রুটি খাওয়ার আছে নিয়ম। ছবি: সংগৃহীত।
ওজন কমানোর অন্যতম অস্ত্র হল ডায়েট। আর রোগা হওয়ার ডায়েট মানেই অনেকে ভাত, রুটি খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দেন। ডালিয়া, মিলেটের উপর তৈরি হয় অগাধ ভরসা। আবার অনেকে ভাত খাওয়া বন্ধ করলেও বিকল্প হিসাবে রুটি খান। তাতে শরীরে কার্বোহাইড্রেটের ঘাটতি খানিকটা মেটে। তবে কার্ব ছাড়াও রুটিতে আছে আরও অনেক উপাদান। প্রোটিন, ফাইবার, মিনারেলস শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে। পুষ্টিবিদদের মতে, ডায়েটে রুটি খেলে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে কার্বোহাইড্রেট যে হেতু আছে, তাই খাওয়ার পরিমাণে খানিকটা রাশ টানা জরুরি। কারণ সারা দিনে ২৫০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেটের বেশি শরীরে না যাওয়াই শ্রেয়। সে ক্ষেত্রে দিনভর রুটি খেয়ে থাকাও ঠিক হবে না।
কখন খাবেন, কতগুলি খাওয়া যায়?
পুষ্টিবিদদের মতে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সব সময় সকালের দিকে রুটি খেয়ে নেওয়া ভাল। তা হলে রুটিতে থাকা কার্বোহাইড্রেট দ্রুত হজম হবে। বিকাল ৪টের পর কার্বোহাইড্রেট না খাওয়াই শ্রেয়। কতগুলি রুটি খাবেন, তা নিয়ে অবশ্য কোনও বাঁধাধরা নিয়ম নেই। তবে মাথায় রাখতে হবে, রুটি যত বেশি খাবেন শরীরে কার্বোহাইড্রেটও তত পরিমাণে প্রবেশ করবে। তাই সকালে রুটি খেলে দুটো থেকে তিনটে খেতে পারেন। তবে দুপুরের দিকে দুটোর বেশি না খেলেই ভাল। তবে রুটি খেলেও ওজন বেড়ে যেতে পারে। গমের চেয়ে রাগি, জোয়ার, বাজরা দিয়ে তৈরি রুটি ওজন কমানোর জন্য বেশি উপকারী। কারণ এগুলির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক কম থাকে। ফলে শরীরে শর্করার মাত্রাও বৃদ্ধি পায় না। জোয়ার, বাজরা এমনিতেই বেশ পুষ্টিকর। ছিপছিপে থাকতে সাহায্য করে এগুলি।