কনজাঙ্কটিভাইটিস থেকে দ্রুত রেহাই পাবেন কোন উপায়ে? ছবি: শাটারস্টক।
লাল চোখ ফুলে রয়েছে, পিচুটির জন্য চোখ খুলে তাকানো দায়— চোখে কালো চশমা পরে অনেকেই এখন ওষুধের দোকানে ভিড় করছেন। নিজেরাই দাবি করছেন, তাঁদের কনজাঙ্কটিভাইটিস হয়েছে। এর পরেই দোকানদারের থেকে চেয়ে নিচ্ছেন চোখের ড্রপ। চিকিৎসকদের মতে, এখন যে সব রোগী লাল চোখ নিয়ে তাঁদের কাছে আসছেন তাঁরা মূলত ভাইরাস-ঘটিত কিংবা ব্যাক্টেরিয়া-ঘটিত কনজাঙ্কটিভাইটিসে আক্রান্ত।
কারও কনজাঙ্কটিভাইটিস হলেই আমরা ধরে নিই, যে হেতু এই অসুখ ছোঁয়াচে, তাই তার দিকে তাকালেই আমাদেরও তা হবে। এ অসুখ কাশি নয় যে, এর জীবাণু বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে আর তাকালেই হয়ে যাবে। এ অসুখ ছোঁয়াচে ঠিকই, তবে তখনই হবে, যদি রোগীর চোখের সংস্পর্শে কোনও ভাবে কেউ আসেন। যেমন রোগী নিজের চোখে হাত দিয়ে তার পর হয়তো কিছু একটা ধরলেন, সে জিনিস তার পর আপনিও ধরলেন, আর সে হাত চলে গেল চোখে। তখনই এই অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
এই রোগে আক্রান্ত হলে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে কী কী করবেন?
১) চোখে মাঝে মাঝে নুনজলের ঝাপটা দিন।
২) ঈষদুষ্ণ জলে তুলো ভিজিয়ে ভাল করে ভিজিয়ে চিপে নিয়ে সেঁক দিন চোখে। চোখে হাত দেওয়ার আগে সাবান দিয়ে ভাল করে হাত ধুয়ে নিন।
৩) চোখে ঘন ঘন হাত দেবেন না। এই সময় চুলকানি হওয়া স্বাভাবিক, তবে সে ক্ষেত্রেও ভেজা তুলো দিয়ে হালকা হাতে চোখ মুছুন, সরাসরি হাত দেবেন না। পিচুটি হলেও তুলো দিয়ে পরিষ্কার করুন।
সংক্রমণ হলে চোখে ঘন ঘন হাত দেবেন না। ছবি: সংগৃহীত।
৪) নরম সুতির রুমাল সব সময় হাতের কাছে রাখুন, চোখ থেকে জল পড়লে রুমাল দিয়ে মুছে নিন। রোজ পরিষ্কার রুমাল ব্যবহার করুন।
৫) কনজাঙ্কটিভাইটিস হলে সূর্যের আলো সরাসরি চোখে না লাগানোই ভাল। খুব প্রয়োজন হলে চোখে কালো চশমা পরে বাড়ির বাইরে বেরোন।
৬) টিভি, মোবাইল, ল্যাপটপ থেকে এই সময় দূরে থাকুন।
৭) চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া স্টেরয়েড জাতীয় আইড্রপ ভুলেও ব্যবহার করবেন না।