ট্রাইগ্লিসারাইড বা ব্যাড কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে দারচিনিতে। ছবি: সংগৃহীত
বহু যুগ ধরেই ভারতে দারচিনির গুণের কথা প্রচলিত। সুস্বাদু মশলা হিসেবে এর খ্যাতি ছিল অনেক আগে থেকেই। ইদানীং চিকিৎসাবিজ্ঞানও মেনে নিয়েছে দারচিনি খাওয়ার নানা উপকারের কথা। দুই ধরনের দারচিনি পাওয়া যায় বাজারে। ক্যাসিয়া এবং সিলন। সিলনের দারচিনির পুষ্টিগুণ বেশি বলে মনে করেন অনেকেই। কিন্তু যে কোনও ধরনের দারচিনিরই কী কী গুণ রয়েছে, জেনে নিন।
১। হৃদ্রোগের আশঙ্কা কমায়: টাইপ টু ডায়াবেটিস যাঁদের রয়েছে, প্রত্যেক দিন আধ চা চামচ করে দারচিনি খাওয়ায় তাঁরা উপকৃত হয়েছেন বলে দেখা গিয়েছে সমীক্ষায়। ট্রাইগ্লিসারাইড বা ব্যাড কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে দারচিনিতে।
২। প্রদাহ কমায়: শরীরে যে কোনও রকম প্রদাহ কমানোর ক্ষমতা রয়েছে এই মশলায়। কোনও টিস্যুর ক্ষতি হলে বা শরীরে কোথাও আঘাত পেলে লাভ হতে পারে দারচিনি খেলে।
৩। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে: ২৬ রকমের মশলার মধ্যে দেখা গিয়েছে দারচিনিতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সবচেয়ে বেশি। রোজ খেলে স্বাস্থ্যের পাশাপাশি উজ্জ্বল হবে আপনার ত্বকও।
৪। মেদ ঝরাতে সাহায্য করে: মেদ ঝরানোর চেষ্টা করছেন? রোজ সকালে স্মুদির মধ্যে এক চিমটে দারুচিনি গুঁড়ো ফেলে দিন। এটা শরীরের বিপাক হার বাড়াতে সাহায্য করে। তাই শরীরচর্চার পর যদি কোনও রকম প্রোটিন ড্রিঙ্ক খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তার মধ্যেও দিতে পারেন এই গুঁড়ো।
৫। ইনসুলিন হরমোনের কাজে সাহায্য করে: টাইপ টু ডায়াবেটিসের মতো কোনও রোগ থাকলে শরীর ইনসুলিম হরমোনের সঙ্গে ঠিক মতো মানিয়ে নিতে পারে না। সেই কাজে সাহায্য করে দারচিনি।
ফাস্টিং সুগারের ক্ষেত্রে ১০ থেকে ২৯ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারে প্রত্যেকদিন এই মশলা খেলে।
৬। রক্তে শর্করা মাত্রা কমায়: ২ চা চামচ মতো দারচিনি প্রত্যেক দিন খেলে রক্তে শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে দারচিনি। ফাস্টিং সুগারের ক্ষেত্রে ১০ থেকে ২৯ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারে প্রত্যেক দিন এই মশলা খেলে।
৭। ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়: ক্যানসার রোগের চিকিৎসা এবং এই রোগের ঝুঁকি কমানোর পিছনে কতটা কার্যকর দারচিনি, তা নিয়ে গবেষণা চলছে বিশ্বজুড়ে। ক্যানসার আক্রান্ত কোষ যাতে শরীরে ছড়িয়ে না পড়ে, তার পিছনে দারচিনির কতটা অবদান রয়েছে, তা নিয়েই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। ইঁদুরের উপর পরীক্ষা করা হয়েছে এক গবেষণায়। দেখা গিয়েছে অন্ত্রের ক্যানসারের ক্ষেত্রে রোগ ছড়ানো আটকাতে সক্ষম দারচিনি।