ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য কোন পাতা দারুণ উপকারী? প্রতীকী ছবি।
কারি পাতার সুন্দর গন্ধে কে না মুগ্ধ হয়? রান্নায় ভাল স্বাদ আনার জন্য বেশির ভাগ দক্ষিণী রান্নাতেই ব্যবহার করা হয় এই পাতা! বাঙালি রান্নায় এই পাতা ব্যবহারের খুব বেশি চল না থাকলেও, হালফিলে বাঙালি রান্নায় অনেকে ব্যবহার করছেন কারি পাতা। দই মাছ কিংবা মুরগির কষা সবেতেই একটু কারি পাতা পড়লে মন্দ লাগে না! ভিটামিন এ, বি, সি ও বি ২-র পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই পাতা ক্যালশিয়ামেরও খুব ভাল উৎস। আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবেও ব্যবহার করা হত এই পাতা। নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসে এই পাতা রাখলে, মুক্তি মিলবে অনেক সমস্যা থেকেই।
১) কারি পাতা রোজ খেতে থাকুন, দেখবেন এক সময় অতিরিক্ত মেদ ঝরে গিয়েছে। এতে রয়েছে এমন উপাদান, যা শরীরে কোলেস্টরলের মাত্রা ঠিক রাখে এবং ওজন বৃদ্ধি পাওয়া আটকায়। নিজের খাবারের তালিকায় জুড়তে পারেন তাজা কারি পাতা।
২) আমাশয়, ডায়ারিয়ার মতো সমস্যা কমায় কারি পাতা। এমনকি, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে বাঁচতেও এর জুড়ি মেলা ভার। এই সব সমস্যা এড়াতে খালি পেটে কারি পাতা খান। শরীরে হজমশক্তির সহায়ক উৎসেচকগুলোরও যথাযথ ভাবে নিঃসরণ ঘটায় কারি পাতা।
৩) গর্ভাবস্থায় মহিলাদের মর্নিং সিকনেস ও বমি ভাবের সমস্যা দেখা দেয়। এই সময় নিয়মিত কারি পাতা খেলে এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসে কারি পাতা রাখলে, মুক্তি মিলবে অনেক সমস্যা থেকেই। ছবি: সংগৃহীত।
৪) কারি পাতায় রয়েছে এমন কিছু উপাদান, যা জীবাণু নাশ করে। ফলে শীতকালে শরীরে জীবাণুঘটিত বেশ কিছু সংক্রমণ এড়ানো যেতে পারে।
৫) গবেষণা বলছে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মানুষ যে রোগে আক্রান্ত, তার নাম বহুমূত্র রোগ। রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখে কারি পাতা।
৬) ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য এই পাতা দারুণ উপকারী। এই পাতা নিয়মিত খেলে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ে। রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এই পাতার গুণে। রোজ সকালে খালি পেটে এই পাতা খেলে উপকার পাবেন।