চা আসল না নকল, তা নিয়ে আমরা ক’জনই বা আর চিন্তা করি? —ফাইল চিত্র
চা বাঙালির আবেগের জিনিস। লিকার চা, দুধ চা, মশলা চা থেকে হালের স্বাস্থ্যকর গ্রিন টি আর সেই চা হাতে নিয়ে তর্কবিতর্কের ঝড়েই টের পাওয়া যায় চায়ের প্রতি বাঙালির ভক্তি কেমন অচলা। শুধু বাঙালিই নয়, দেশ-বিদেশের বহু মানুষের দিনটাই শুরু হয় চায়ে চুমুক দিয়ে। অথচ সেই চা পাতাতেও এখন মিশছে ভেজাল। চা আসল না নকল, তা নিয়ে আমরা ক’জনই বা আর চিন্তা করি?
নিজেকে চাঙ্গা রাখতে অনেকেই দিনে একাধিক বার চা খান। তাই কোনও চায়ে কিছু ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান মেশানো রয়েছে কি না, সেটা জানা কিন্তু খুব জরুরি। কালো চায়ে অনেক সময়ে কালো সিসা ব্যবহার করা হয়। এই একই সিসা ব্যবহার করা হয় পেনসিলে। অনেক সময়ে অন্য কোনও পাতাও মেশানো থাকে। চায়ে ভেজাল থাকলে তা লিভারের ক্ষতি করতে পারে। ‘ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া’ বা ‘এফএসএসআই’ বিভিন্ন সময়ে সমাজমাধ্যমে চায়ের ভেজাল সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে ভিডিয়ো দেয়। কী ভাবে চা পাতার ভেজাল শনাক্ত করবেন, তা জেনে নেওয়া বাঞ্ছনীয়।
চায়ে ভেজাল থাকলে তা লিভারের ক্ষতি করতে পারে। —ফাইল চিত্র
‘টি বোর্ড অফ ইন্ডিয়া’ বলছে, খুব সহজেই ভেজাল চা চিনে নেওয়া যেতে পারে।
১। চা খাঁটি না ভেজাল বুঝতে পরীক্ষা করার জন্য প্রথমে একটি ফিল্টার কাগজের উপর অল্প করে চা পাতা ছড়িয়ে দিন।
২। এর পর পাতা ও কাগজের উপর অল্প পরিমাণ বিশুদ্ধ জল ছিটিয়ে নিন।
৩। এ বার পাতাগুলি ফেলে দিয়ে কাগজটিকে আলাদা নিয়ে ভাল করে জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
৪। জল দিয়ে ধোয়া কাগজটি এ বার আলোর সামনে ধরে কাগজের দাগগুলিকে ভাল করে পরীক্ষা করুন।
৫। ভেজাল চা কাগজের উপর কালো বা খয়েরি রঙের দাগ ফেলবে, কিন্তু চা খাঁটি হলে কাগজের উপর কোনও দাগ পড়বে না।