পেট ফাঁপা, গ্যাসের সমস্যার কারণ কী, প্রতিকার কীসে? ছবি: ফ্রিপিক।
দুপুরে জমিয়ে মাংস-ভাত খেলেই পেট ফেঁপে ওঠে। কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস কিংবা হজমের বিভিন্ন সমস্যা থেকেও ফাঁপতে পারে পেট। যাঁদের বদহজমের সমস্যা আছে, তাঁদের খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম হলেই পেট ফাঁপা, গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়। পেটের সমস্যা সামলাতে শুধু ডাক্তার-বদ্যি দেখালেই চলবে না। বদল আনতে হবে রোজের খাদ্যাভ্যাসেও। সঠিক সময়ে খেতে হবে ও পরিমিত পরিমাণে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, রোজের কিছু অভ্যাসের কারণেই পেট ফাঁপার সমস্যা আরও বেড়ে যায়। তখন সবসময়েই মনে হয় পেট ভার। কী কী সেই অভ্যাস জেনে নিন?
১) দীর্ঘ ক্ষণ কিছু না খেয়ে একবারে অতিরিক্ত খেয়ে ফেললে পেট ফাঁপার সমস্যা হতে পারে। অনেকেই সকালের তাড়াহুড়োয় প্রাতরাশ না খেয়েই বেরিয়ে পড়েন। তার পর খিদে পেলে ভাজাভুজি বা বাইরের খাবার বেশি করে খেয়ে নেন। এর ফলেই পেট ফাঁপতে শুরু করে। তাই একবারে না খেয়ে বার বার অল্প অল্প করে খেতে হবে। সারাদিনের খাওয়াদাওয়াকে ছোট ছোট ৬টা মিলে ভাগ করে নিলে এই সমস্যার সমাধান দ্রুত হবে।
২) খুব তাড়াতাড়ি খাওয়ার অভ্যাস থাকলেও এমন হতে পারে। তাড়াতাড়িতে ভাল করে চিবিয়ে না খাওয়া, গিলে খাওয়ার অভ্যাস থাকলে পেট ফাঁপতে পারে।
৩) ডায়েটে বেশি ফাইবার জাতীয় খাবার রাখলেও পেট ভার হতে পারে। বেশি পরিমাণ ডাল, বিনস জাতীয় সব্জি, শাকপাতা ভাল করে রান্না না করে ফেলে গ্যাস ও পেট ফাঁপার সমস্যা বাড়তে পারে।
৪) বেশি চিনি দেওয়া নরম পানীয়, প্যাকেটজাত পানীয় খেলেও এমন হতে পারে। রাত জেগে অতিরিক্ত মদ্যপান, সেই সঙ্গে ঝালমশলা দেওয়া খাবার খেলেও পেট ফাঁপতে পারে।
৫) কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাতেও পেট ফাঁপতে পারে। জল যদি কম খান তা হলে শরীরের আর্দ্রতা কমে যায়। তখনও এই সমস্যা হতে পারে।
সারবে কী করে?
১) আদা কুচি ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস কিছুটা জলে মিশিয়ে খেলে আরাম মিলতে পারে পেট ফাঁপার সমস্যায়। আদা দিয়ে চা খেলে বা গ্রিন টি খেলেও উপকার পাবেন।
২) শরীরচর্চা করতে হবে নিয়মিত। পেটের কিছু ব্যায়াম আছে যা প্রশিক্ষকের থেকে শিখে নিয়ে করলে পেটের যাবতীয় গোলমাল কমে যাবে। নিয়মিত প্রাণায়াম করা ভাল।
৩) পেট ফেঁপে থাকলে হাঁটাহাঁটি করুন। বাইরে যেতে না পারলেও, ঘরের ভিতরে, ছাদে হাঁটতে পারেন।
৪) দই বা এই ধরনের প্রো-বায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাওয়া প্রয়োজন। প্রো-বায়োটিক খেলে অন্ত্রে উপকারী ব্যাক্টিরিয়ার সংখ্যা বাড়ে। এই ব্যাক্টিরিয়া হজমে সাহায্য করে।
৫) পর্যাপ্ত জল খেতে হবে। শরীরে যেন জলের ঘাটতি না হয় তা খেয়াল রাখতে হবে।