(বাঁদিকে) অকিন অকমান এবং (ডানদিকে) প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। ছবি: সংগৃহীত
সাধারণ মানুষ থেকে তারকা— স্বাস্থ্য সচেতন সকলেই নিয়মিত শরীরচর্চা করেন। সাধারণ মানুষ, অনুরাগীদের উৎসাহিত করতে প্রায়শই শরীরচর্চার ছবি, ভিডিয়ো নিজেদের সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন তাঁরা। অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়ারও এর ব্যতিক্রম নন। মেয়ে, পরিবার এবং অভিনয় সামলেও নিয়মিত শরীরচর্চা করেন তিনি। প্রিয়াঙ্কার ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক অকিন অকমান এ ক্ষেত্রে সাইক্লিংয়ের উপর বিশেষ জোর দেন। টেনিস খেলার পাশাপাশি সাইক্লিংয়ের জন্য অনেকে চেনেন অকিনকে। তিনি জানালেন অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন তাঁর ফিটনেস ‘মন্ত্র’।
১) প্রয়োজন বুঝে ব্যায়াম
বন্ধুরা জিমে কত ক্ষণ সময় কাটাচ্ছেন বা কী ধরনের শরীরচর্চা করছেন, তার সঙ্গে আপনার শরীরচর্চার রুটিন যে মিলবেই, তার কোনও মানে নেই। সকলের প্রয়োজন এক রকম নয়। তাই প্রয়োজন এবং শরীরের সহ্যশক্তি অনুযায়ী প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা রুটিন তৈরি করে দেন প্রশিক্ষকেরা।
২) প্রশিক্ষকের উপর আস্থা রাখা
ব্যক্তি বিশেষে চাহিদা অনুযায়ী ডায়েট এবং শরীরচর্চার রুটিন তৈরি করে দেন প্রশিক্ষকেরাই। আপনার শরীরের ভলমন্দ বোঝার প্রশিক্ষকের উপর ভরসা করাই ভাল।
৩) ডায়েটে মেনে চলা
শরীরচর্চার সঙ্গে ডায়েট অত্যন্ত জরুরি। তবে কয়েকটা দিন ডায়েট করেই কিন্তু হাল ছেড়ে দিলে হবে না। ফিটনেসের বিষয়ে ধৈর্য এবং অধ্যবসায় দুই-ই জরুরি।
৪) ফাঁকি না দেওয়া
শরীরচর্চা করতে গেলে কষ্ট তো হবেই। তাই বলে হাল ছেড়ে দিলে হবে না। দ্রুত ফল মিলছে না বলে অনেকেই মাঝপথে জিমে যাওয়া বন্ধ করে দেন। আবার কিছু দিন পর শরীরচর্চা করতে শুরু করেন। এমন খাপছাড়া ভাবে শরীরচর্চা করলে ফল না মেলার আশঙ্কাই বেশি।
৩) নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া
দ্রুত মেদ ঝরানোর লক্ষে যোগাসন, ডায়েট, জিম, জ়ুম্বা— সব একসঙ্গে করার কোনও প্রয়োজন নেই। ছোট ছোট লক্ষ নিয়ে অল্প অল্প করে নিজের অভীষ্ট পূরণ করার চেষ্টা করুন।