খামখেয়ালি আবহাওয়ায় শরীরের প্রতি বাড়তি নজর দেওয়া জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।
সকালে অফিস যাওয়ার সময় দরদর করে ঘাম ঝরছে। মাথার উপর গনগনে সূর্যের তাপে অতিষ্ঠ হয়ে যাওয়ার জোগাড়। বাতানুকূল যন্ত্রের আবহাওয়ায় থেকেও যেন গরমের অস্বস্তি কাটতে চাইছে না। অথচ রাতে ঘুমোনোর সময় হালকা শিরশিরানি লাগছে। পাতলা একটা চাদর গায়ে না রাখলেই নয়। দিনে গরম আর রাতে ঠান্ডার এই আবহাওয়ার প্রভাব পড়বে শরীরের উপর। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, এ বছর সর্বোচ্চ গরম পড়তে চলেছে। ফলে এমন আবহাওয়ায় শরীরের প্রতি বাড়তি নজর দেওয়া জরুরি।
১) দিনের বেলা বাইরে বেরোলে হালকা রঙের সুতির পোশাক সবচেয়ে কার্যকর। বিশেষত যাঁরা সারাদিন বাইরে কাজ করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে গরম আটকানোর জন্য সুতির পোশাক অত্যন্ত উপযোগী। পাশাপাশি এই সময় আঁটসাঁট পোশাক এড়িয়ে চলাই ভাল। কাজে বেরিয়ে যাঁদের ফিরতে রাত হয়, তাঁরা সঙ্গে একটি অতিরিক্ত হালকা পোশাক রাখতে পারেন। যাতে ট্রেনে-বাসে ফেরার পথে ঠান্ডা লাগা থেকে রক্ষা পেতে জড়িয়ে নেওয়া যায় গায়ে।
২) দুপুরে বাইরে বেরোতে হলে অবশ্যই সঙ্গে রাখুন ছাতা কিংবা টুপি। সুযোগ পেলে পরুন রোদচশমাও। ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি, অন্তঃসত্ত্বা মহিলা ও স্থূলতার সমস্যায় আক্রান্ত মানুষের ক্ষেত্রে এই সময় অতিরিক্ত যত্নশীল না হলে ঘটতে পারে বড় বিপদ।
৩) যাঁরা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাড়িতে থাকেন বা অফিসে কাজ করেন, তাঁদের কোনও মতেই ঘরের ঠান্ডা থেকে বেরিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই রোদে যাওয়া উচিত নয়। একই ভাবে সত্যি উল্টোটিও। উষ্ণতার এই হেরফেরের মাঝে মিনিট দুয়েক ছায়ায় দাঁড়িয়ে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
৪) নিয়মিত জল পান করা ও দেহে জলের ভারসাম্য বজায় রাখা এই সময়ে অত্যন্ত জরুরি। সঙ্গে পান করা যেতে পারে ডাবের জল কিংবা ফলের রস। কিন্তু ঠান্ডা পানীয়, কফি ও মদ কমাতে হবে যতটা সম্ভব। নিয়মিত স্নান করাও এই সময়ে অত্যন্ত জরুরি।