মস্তিষ্কে টিউমার অনেকের কাছেই বিভীষিকার মতো। প্রতীকী ছবি।
মস্তিষ্কে টিউমার বাসা বেঁধেছে কি না, তাই বাইরে থেকে বোঝার সুযোগ সব সময় থাকে না। মানসিক চাপ, প্রবল মাথা যন্ত্রণা, অত্যধিক বমি, ভুলে যাওয়ার মতো উপসর্গ যদি ঘন ঘন হতে থাকে, তা হলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কারণ এগুলি আসলে টিউমারের ইঙ্গিত বহন করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, মোট ২ লক্ষ ৬০ হাজার মানুষ প্রতি বছর ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হন।
মস্তিষ্কে টিউমার অনেকের কাছেই বিভীষিকার মতো। তবে ভয় পেয়ে চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হলে কিন্তু বিপদ আরও বাড়তে পারে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, উপযুক্ত চিকিৎসার সাহায্য মস্তিষ্কে টিউমারের কবল থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তবে টিউমার ক্যানসার যুক্ত হলে আশঙ্কা থেকে যায়। চিকিৎসকদের মতে, ঠিক সময়ে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মস্তিষ্কের টিউমার বাদ দিয়ে রোগীকে আবার স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দেওয়া যায়। অন্যান্য রোগের মতোই এই ধরনের টিউমার হওয়ারও কিছু সম্ভাব্য কারণ রয়েছে। ঝুঁকি এড়াতে সেগুলিও জেনে রাখা জরুরি।
রাসায়নিকের যথেচ্ছ ব্যবহার
বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিকজাত সামগ্রীর সংস্পর্শে দীর্ঘ দিন ধরে থাকার ফলে, মস্তিষ্কে টিউমারের ঝুঁকি বাড়ে। ধোঁয়া, দূষণ তো আছেই, সেই সঙ্গে রাসায়নিক উপাদান মিশ্রিত প্রসাধনীর ব্যবহার থেকেও এমন হতে পারে। তাই বাজারচলতি প্রসাধন সামগ্রী বেশি ব্যবহার না করাই ভাল।
বাড়িতে ক্যানসার আক্রান্ত থাকলে
পরিবারে কোনও ক্যানসার রোগী থাকলে সতর্ক থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। ব্রেন টিউমার বলে নয়, শরীরের বিভিন্ন অংশে বাসা বাঁধতে পারে ক্যানসার।
ধূমপানের অভ্যাস
নিত্য ধূমপানের অভ্যাসে বাড়ে কর্কট রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে থাকে। নিকোটিনের প্রভাবে শরীরে ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি ঘটতে থাকে। তাই সুস্থ থাকতে ধূমপানের অভ্যাস নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।
বার্ধক্য
যে কোনও বয়সে হতে পারে টিউমার। তবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কমবয়সিদের চেয়ে বয়স বাড়লে মস্তিষ্কে টিউমার হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই বার্ধক্যে টিউমর নিয়ে সচেতন হওয়া জরুরি।