ঋতুস্রাবের সময়েও অনেক সময় পেটে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
খাওয়াদাওয়ার একটু এ দিক-ও দিক হলেই বাঙালি ভোগে পেটের সমস্যায়। তেল-মশলা জাতীয় ভারী কোনও কিছু খেলেই গ্যাস বা পেট ফাঁপার সমস্যায় নাজেহাল হয়ে পড়েন অনেকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পেটের সমস্যা সামলাতে শুধু ডাক্তার-বদ্যি দেখালেই চলবে না। বদল আনতে হবে রোজের খাদ্যাভ্যাসেও। প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় এমন কিছু খাবার রাখা প্রয়োজন, যা পেটের সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি দিতে পারে।
কেবল খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম হলেই নয়, ঋতুস্রাবের সময়েও অনেক সময় পেটে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। মূলত এই সময় শরীরে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোনের তারতম্য হয়। এই কারণে শরীরের কোষে কোষে জল ও নুন বেশি মাত্রায় জমা হয়, কোষগুলি ফুলে যায় ফলে গ্যাসের অনুভূতি হয়। শরীরে অস্বস্তি বাড়ে। এই অস্বস্তি দূর করা সম্ভব হেঁশেলের দাওয়াই দিয়েই।
১) আদা
ঋতুস্রাবের সময় পেটে গ্যাসের সমস্যা দূর করতে আদা ভীষণ উপকারী। আদা যে কোনও রকম প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করে। ঋতুস্রাব চলাকালীন পেটের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতেও মাঝেমাঝে এক টুকরো আদা মুখে রাখতে পারেন।
২) জোয়ান
জোয়ানের মধ্যে থাকা থাইমল নামক যৌগ শরীরে গিয়ে এক প্রকার গ্যাস্ট্রিক রস নিঃসরণ করে। এই রস গ্যাসের সমস্যা দূর করে। ঋতুস্রাবকালীন যন্ত্রণাও দূর করে।
আদা যে কোনও রকম প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করে। ছবি: সংগৃহীত
৩) মৌরি
ঋতুস্রাবের সময় পেট ভার হয়ে থাকলে খানিকটা মৌরি খেয়ে নিলেও উপকার মিলবে। মৌরিতে থাকা বিভিন্ন যৌগ পাকস্থলীর পেশিগুলিকে শিথিল করে। ফলে পেটে গ্যাস জমা থাকতে পারে না।
৪) গুড়
গুড়ে উচ্চ মাত্রায় পটাশিয়াম ও স্বল্প মাত্রায় সোডিয়াম থাকে। এটি শরীরের কোষগুলিতে অ্যাসিডের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, ফলে গ্যাসের সমস্যাও দূর হয়।
মৌরিতে থাকা বিভিন্ন যৌগ পাকস্থলির পেশিগুলিকে শিথিল করে। ছবি: সংগৃহীত
৫) কলা
এই ফলে ভিটামিন বি৬ ও পটাশিয়ামে ভরপুর মাত্রায় থাকে। এই সব যৌগ শরীরে জল জমা দিতে বাঁধা দেয়। ঋতুস্রাবের সময় একটা কলা খেয়ে নিলে কিডনি শরীর থেকে সোডিয়াম বার করে দিতে সাহায্য করে। ফলে গ্যাসের সমস্যা থেকেও রেহাই মেলে।