পিসিওএস-এ পুরুষদের মতো মুখে লোম বাড়তে থাকে। প্রতীকী ছবি।
পলিসিস্টিক ওয়াভিয়ান সিন্ড্রোম বা ডিজিজ, যাকে আমরা পিসিওডি বা পিসিওএস-এর নামে চিনি, তা মূলত মেয়েদের হরমোনের অসুখ। পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোমে মেয়েদের ডিম্বাশয় বেশি পরিমাণে অ্যান্ড্রোজেন তৈরি করে। মূলত ছেলেদের শরীরেই এই হরমোনের ক্ষরণ হয়। মেয়েদের শরীরে স্বাভাবিক অবস্থায় এই হরমোন খুব কম থাকে। কিন্তু পিসিওএস-এর ক্ষেত্রে তা পরিমাণে বেশি তৈরি হয়। ডিম্বাণু তৈরি হওয়ার জন্য যে হরমোনের প্রয়োজন, সেটা পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকলে, ডিম্বাণু তৈরি করতে পারে না মেয়েদের শরীর। তখনই ডিম্বাশয়ের বাইরে ছোট ছোট অনেকগুলি সিস্ট তৈরি হয়ে একটি স্তর পড়ে যায়। তা থেকেই এই রোগের নাম। নিয়মিত ঋতুস্রাব না হওয়া, ওজন বাড়ার প্রবণতা, চুল পড়ার মতো গর্ভধারণে সমস্যা এই রোগের মূল উপসর্গ। তবে ত্বকেও এই রোগের উপসর্গ দেখা যায়। জেনে নিন কোন কোন উপসর্গ দেখলে সতর্ক হবেন।
পিসিওএস-এ মুখে ভর্তি ছোট ছোট ব্রণ দেখা দেয়। প্রতীকী ছবি।
১) হারসুটিজম: পুরুষদের মতো মুখে লোম বাড়তে থাকে। তারই সঙ্গে বুক, পেট, থাইয়ের ভিতরের অংশেও লোম বাড়ে।
২) অ্যাকনে ভালগারিস: মুখভর্তি ছোট ছোট ব্রণ দেখা দেয়। এই ধরনের ব্রণের মুখ খুব চোখা হয়।
৩) অ্যান্ড্রোজেনেটিক অ্যালোপোশিয়া: মাথা থেকে চুল পড়তে থাকে। অনেকটা অংশে টাক পড়ে যাওয়ার মতো সঙ্কট দেখা দেয়।
৪) সেবোরিক ডার্মাটিটিস: এই রোগের ক্ষেত্রে মুখের তৈলাক্ত অংশগুলিতে র্যাশ দেখা যায়। মূলত নাক, কান ও ভুরুর চারপাশে এই ধরনের র্যাশ হয়।
এ ছাড়াও ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, বিভিন্ন অংশে কালো ছোপ পড়ার মতো সমস্যা দেখা দেয় অনেকের ক্ষেত্রেই। এমন হলে মনখারাপ হবেই। কিন্তু পার্লারে গিয়ে ত্বকের রূপ ফেরানোর চেষ্টা করার অনেক আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ, রূপচর্চার প্রয়োজন অবশ্যই আছে, তবে এ সব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পিসিওএসের চিকিৎসা দরকার।