Parenting Tips

৫ বিষয়: শিশুর দৈহিক ওজন বৃদ্ধির পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে

যে বয়সে যতটা ওজন থাকা প্রয়োজন, তা না হলে সব বাবা-মা চিন্তায় পড়েন। মূলত এ সময় থেকেই শরীরের ভিত তৈরি হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২৩ ১১:২১
Share:

— প্রতীকী চিত্র।

সন্তান জন্মের পর পরই চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিয়েছিলেন কোন বয়সে, দেহের ওজন কেমন থাকা উচিত। সেই অনুযায়ী সন্তান বেড়ে উঠছিল। কিন্তু একটু বড় হতে না হতেই খাওয়াদাওয়া নিয়ে ঝামেলা শুরু করেছে। যার ফলে ওজন যন্ত্রের কাঁটা আর নড়ছে না। প্রায় একই জায়গায় থমকে রয়েছে। বাড়ন্ত বাচ্চাদের নিয়ে এমন সমস্যায় পড়তে হয় অনেক অভিভাবককেই। যে বয়সে যতটা ওজন থাকা প্রয়োজন, তা না হলে সব বাবা-মা চিন্তায় পড়েন। মূলত এই সময় থেকেই শরীরের ভিত তৈরি হয়। তাই বয়স ও উচ্চতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শিশুদের ওজন যথাযথ হওয়া জরুরি। ওজন কম থাকলে তাদের বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। ফলে শরীরে ছোট থেকেই বাসা বাঁধে নানা রোগব্যাধি।

Advertisement

এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কোন কোন বিষয়ে নজর দেওয়া জরুরি?

১) পর্যাপ্ত ঘুম

Advertisement

সারা দিন পর রাতে ঘুমের সময়ে শরীরের সমস্ত ঘাটতি পূরণ হয়। শুধু তা-ই নয়, গ্রোথ হরমোনের ক্ষরণও সঠিক মাত্রায় হতে পারে ঘুমের মধ্যে। তাই শিশুদের পর্যাপ্ত ঘুমোনো জরুরি।

২) খেলাধুলো

ঘরের বাইরে মাঠে গিয়ে খেলাধুলো করলে তার প্রভাব পড়ে শরীরে। অভিজ্ঞরা বলেন, খোলামেলা পরিবেশে সময় কাটালে শুধু শরীরের নয়, ব্যাপ্তি ঘটে মনেও। তাই মুঠোবন্দি ভিডিয়ো গেম নয়, বাড়ির বাইরে গিয়ে খেলাধুলো করার উপর জোর দেওয়া উচিত অভিভাবকদের।

৩) সঠিক খাওয়াদাওয়া

পরিমাণে অনেকটা খাবার না খেলেও সন্তান পর্যাপ্ত পুষ্টি পাচ্ছে কি না, সে দিকে নজর দেওয়া জরুরি। বাড়ন্ত বয়সে এমন খাবার খাওয়া উচিত, যা ওজন বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি হাড়ের যত্ন নেওয়া, হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখার মতো কাজ সঠিক ভাবে করতে পারে। তাই প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজে ভরপুর খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস করাতে হবে ছোট থেকেই।

৪) সারা ক্ষণ মোবাইল ঘাঁটা

শরীরচর্চা না করে দিনের বেশির সময়ে মোবাইল বা ল্যাপটপের পর্দার দিকে তাকিয়ে কাটানোর অভ্যাসও নাকি শিশুদের বেড়ে ওঠার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই ধরনের যন্ত্রের অত্যধিক ব্যবহার শিশুদের গ্রোথ হরমোনের উপর প্রভাব ফেলে। তাই তাদের দৈহিক বিকাশ ঘটে না।

৫) লোকজনের সঙ্গে না মেশা

মনের বিকাশের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে দৈহিক বিকাশ। তাই ছোট থেকেই সন্তানের অন্তর্মুখী মনোভাব কাটানোর ব্যবস্থা করতে হবে। সমবয়সিদের সঙ্গে মেলামেশা করা, খেলাধুলো করা, আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement