USAID Controversy

গোপনে হামাস, লস্করকে মদত ইউএসএইড-এর? অভিযোগ নিম্নকক্ষের হাউস কমিটির বৈঠকে

বৈঠকে দাবি করা হয়েছে, শুধু হামাসই নয়, ভারতবিরোধী কয়েকটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনকেও পরোক্ষে মদত দিয়েছে ইউএসএআইডি। তার মধ্যে রয়েছে পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তইবা (এলইটি)-র একটি শাখাও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:৪৪
Share:

ফের অভিযোগ ইউএসএইড-এর বিরুদ্ধে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

বাইডেন জমানায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েলে হামলার সময় থেকেই প্যালেস্টাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে গোপনে সমর্থন করছে মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা বা ইউএসএইড! এ বার ইউএসএইড এবং ফেডেরাল কর্মীদের বিরুদ্ধে আমেরিকার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজ়েন্টেটিভ্‌সের কমিটির বৈঠকে এমনটাই অভিযোগ উঠল। অনেকেরই দাবি, বাইডেন প্রশাসনের অধীনে গত দেড় বছরে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি অর্থ পাঠানো হয়েছে হামাসকে, ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা।

Advertisement

দাবি করা হয়েছে, শুধু হামাসই নয়, ভারতবিরোধী কয়েকটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনকেও পরোক্ষে মদত দিয়েছে ইউএসএআইডি। তার মধ্যে রয়েছে পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তইবা (এলইটি)-র একটি শাখা ফালাহ-এ-ইনসানিয়ত (এফআইএফ)। ভারতে ২৬/১১-র মুম্বই হামলার নেপথ্যে এই লস্করেরই হাত ছিল। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ১৬৬ মানুষের, আহত হয়েছিলেন প্রায় ৩০০ জন।

অতীতেও বিভিন্ন সময়ে ইউএসএইড-এর বিরুদ্ধে একই অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, সে সময় বিষয়টি তদন্তাধীন থাকা সত্ত্বেও গোপনে এই সংগঠনগুলিকে সহায়তা করে গিয়েছে ইউএসএইড। ভারত ও আমেরিকা— দুই দেশেই সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে লস্কর-ই-তইবা, জামাত-উদ-দাওয়া এবং এফআইএফ-কে। এর মধ্যে প্রথম দু’টি গোষ্ঠী জম্মু ও কাশ্মীর-সহ ভারতের নানা প্রান্তে একাধিক সন্ত্রাসবাদী হামলা চালিয়েছে। অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে এই গোষ্ঠীগুলিকে অর্থসাহায্য করেছে ইউএসএইড। মিশিগানের একটি দাতব্য সংস্থা হেল্পিং হ্যান্ড ফর রিলিফ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এইচএইচআরডি)-র মাধ্যমে এফআইএফ-এর কাছে ওই অর্থসাহায্য পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ। নানা মহলের দাবি, এইচএইচআরডি-র সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির যোগসূত্র রয়েছে।

Advertisement

গত ২০ জানুয়ারি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের পরেই ৯০ দিনের জন্য বৈদেশিক সাহায্য বন্ধের নির্দেশ দেন ট্রাম্প। অনাহার, অপুষ্টি ও অন্যান্য দুরারোগ্য রোগের বিরুদ্ধে লড়াই থেকে শুরু করে বিশ্ব জুড়ে লক্ষ লক্ষ বাস্তুচ্যুত মানুষকে আশ্রয় দেওয়া— সমস্ত কর্মসূচির জন্য তহবিল বন্ধ করে দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। ইউএসএইড-এর বৈদেশিক চুক্তির ৯০ শতাংশ এবং বিশ্বব্যাপী সহায়তা কর্মসূচির জন্য ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি তহবিল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement