ছবি: সংগৃহীত।
কাজ থেকে ফিরে বেশির ভাগ দিনই মুড়ি খেয়ে কাটিয়ে দেন। সঙ্গে এক-আধটা দিন চপও জুটে যায়। তবে ইদানীং রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা একটু বেশির দিকেই রয়েছে। তাই বাইরের তেলেভাজা জাতীয় খাবারের দিক থেকে চোখ সরিয়ে শুধু মুড়িতেই থিতু হয়েছেন। কিন্তু মাঝেমধ্যে তো স্বাদবদল করতেও ইচ্ছে হয়। তবে চট করে বানিয়ে ফেলতে পারবেন না। আগে থেকে একটু পরিকল্পনা করে রাখলেই বানিয়ে ফেলা যায় দইবড়া। দেখে নিন, মুখরোচক আবার স্বাস্থ্যকর এই খাবার তৈরি করবেন কী ভাবে?
উপকরণ
বিউলির ডাল: ১ কাপ
জিরে গুঁড়ো: আধ চা চামচ
ধনে গুঁড়ো: আধ চা চামচ
শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো: আধ চা চামচ
টক দই: ২ কাপ
চাট মশলা: আধ চা চামচ
তেঁতুলের মিষ্টি চাটনি: আধ কাপ
ধনে পাতার চাটনি: ৩ টেবিল চামচ
পুদিনা পাতার চাটনি: ১ টেবিল চামচ
ঝুরি ভাজা: আধ কাপ
বিট নুন: স্বাদ অনুযায়ী
তেল: বড়া ভাজার মতো
ধনেপাতা কুচি: আধ কাপ
প্রণালী
১) আগের দিন রাত থেকে ডাল ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন মিক্সিতে ডাল এবং সামান্য নুন দিয়ে মিহি করে বেটে নিন। শিলে বাটতে পারলে আরও ভাল।
২) টক দইয়ের সঙ্গে সামান্য নুন মিশিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে রাখুন।
৩) কড়াইতে তেল গরম হতে দিন। বেটে রাখা ডাল অল্প করে নিয়ে বড়ার আকারে গড়ে ভেজে নিন। খেয়াল রাখবেন, যেন বেশি কড়া না হয়ে যায়।
৪) ভাজা হয়ে গেলে তেল ঝরিয়ে বড়াগুলো জলের মধ্যে কিছু ক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন।
৫) এ বার জল থেকে তুলে হাত দিয়ে একটু চেপে জল ঝরিয়ে নিন। একটি প্লেটে পর পর রাখুন।
৬) এবার দইবড়া সাজানোর পালা। প্লেটে রাখা বড়াগুলোর উপর ফেটিয়ে রাখা দইবড়ার উপর ছড়িয়ে দিন।
৭) তার উপর তেঁতুলের চাটনি, ধনেপাতার চাটনি, পুদিনা পাতার চাটনি, বিট নুন এবং চাট মশলা ছড়িয়ে দিন।
৮) পরিবেশন করার আগে একেবারে শেষে দিন ঝুরি ভাজা। না হলে নরম হয়ে যাবে।
৯) চাইলে উপর থেকে একটু ধনেপাতা ছড়িয়ে দিতে পারেন। কেউ কেউ আবার বেদানাও ছড়িয়ে দেন।