কেবল মিষ্টি খাওয়া ছাড়লেই ডায়াবিটিস কমবে না। ছবি: সংগৃহীত।
ডায়াবিটিস এখন প্রায় ঘরে ঘরে। প্রাপ্তবয়স্কেরা শুধু নন, শিশুরাও আক্রান্ত হচ্ছে ডায়াবিটিসে। শিশুদের অনেকের মধ্যেই টাইপ ১ ডায়াবিটিসের লক্ষণ ধরা পড়ছে। অর্থাৎ তাদের অগ্ন্যাশয় সম্পূর্ণ ভাবে ইনসুলিন ক্ষরণ বন্ধ করে দিয়েছে। সাধারণত টাইপ ১ ডায়াবিটিস বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই জন্মগত। আর টাইপ ২ ডায়াবিটিসের জন্য দায়ী মূলত অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন। এই রোগ কিন্তু চুপিসারে আসে, আচমকাই একদিন ডালপালা মেলে দেয়।
এক বার ডায়াবিটিস ধরা পড়লে, পছন্দের অনেক খাবারই জীবন থেকে বাদ দিতে হয়। কেক, পেস্ট্রি থেকে রসগোল্লা— সব ধরনের খাবারের সঙ্গেই আড়ি করতে হয়। অনেকের ধারণা, এই সুগার-ফ্রি ডায়েট করলেই বুঝি ডায়াবিটিসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তবে শুধুমাত্র চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিলেই কিন্তু ডায়াবিটিসের হাত থেকে নিস্তার পাওয়া সম্ভব নয়। এর পাশাপাশি জীবনযাপনে বেশ কিছু পরিবর্তনও আনা জরুরি।
১) রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রথম এবং প্রধান শর্তই হল শরীরচর্চা করা। তা সে সাঁতারই হোক বা যোগাসন— শারীরিক ভাবে সক্রিয় থাকলে ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ, ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
২) চিনি জাতীয় খাবার বা মিষ্টি বন্ধ করলেই চলবে না। এর পাশাপাশি বাইরের প্রক্রিয়াজাত খাবার একেবারে এড়িয়ে চলুন। রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি করতে এই খাবারগুলি যথেষ্ট। ডায়াবিটিস ধরা প়ড়লে তো বটেই, তা ছা়ড়া আগাম সতর্কতা নিতেও এ ধরনের খাবার খাওয়া বন্ধ করুন।
৩) দিনের পর দিন ঘুম কম হলে, তা ইনসুলিন ক্ষরণ এবং গ্লুকোজ় বিপাক হারের উপর প্রভাব ফেলে। তাই রক্তে শর্করার মাত্রায় হেরফের হয়।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রথম এবং প্রধান শর্তই হল শরীরচর্চা করা। ছবি: সংগৃহীত।
৪) ঘরে-বাইরে কাজের চাপ, ব্যক্তিগত জীবনে সমস্যা মানসিক চাপ, উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলতে পারে। যার ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। মানসিক চাপ বশে রাখতে নিয়মিত ধ্যান, প্রাণায়াম করা যেতে পারে।
৫) রোজ সকালে অফিস যাওয়ার তাড়ায় অনেকেই প্রাতরাশ না করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। দীর্ঘ ক্ষণ খালি পেটে থাকার পর, দুপুরের খাবার খান। এই অভ্যাসের কারণে শরীরে ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই প্রাতরাশ করতে হবে পেট ভরে।