Corona Vaccine

চিনের সেই ‘কুখ্যাত’ গবেষণাগারেই তৈরি হল করোনার ‘মহৌষধ’ ন্যানোভ্যাক্সিন! কী ভাবে কাজ করবে?

বিতর্কের পরেও করোনা নিয়ে গবেষণা বন্ধ করেনি উহান। চিনের সরকারের তত্ত্বাবধানে এবং পৃষ্ঠপোষকতায় চালিয়ে গিয়েছে পরীক্ষানিরীক্ষা। অবশেষে তার ফল মিলেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:১২
Share:

গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।

করোনা আপাতত অতীত। কিন্তু ভবিষ্যতে কি তা আবার শক্তি বাড়িয়ে নতুন রূপে অতিমারি হয়ে ফিরে আসতে পারে? আজ অবধি সে সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দিতে পারেননি গবেষকেরা। তবে, চিনের এক গবেষণাগার জানাচ্ছে, তেমন যদি ঘটেও, তা হলে এখন মোকাবিলা করার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকা যাবে। কারণ, সম্প্রতি ওই গবেষণাগারে তৈরি হয়েছে করোনার এক মহৌষধ— ‘ন্যানোভ্যাক্সিন’। যা শুধু ওমিক্রন, ডেল্টার মতো করোনার পুরনো রূপ নয়, ভবিষ্যতে করোনা যদি নতুন কোনও আরও ভয়াবহ রূপ নেয়, তার সঙ্গেও মোকাবিলা করতে পারবে।

Advertisement

চিনের ওই গবেষণাগারের নাম ‘উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি’। ঘটনাচক্রে ওই উহান গবেষণাগারই গোটা পৃথিবীর ‘বিষনজরে’ পড়েছিল করোনা ভাইরাস ছড়ানোর জন্য। করোনা পর্বের আগে বাদুড়ের শরীর থেকে ছড়ানো ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করছিল উহান ইনস্টিটিউট। অভিযোগ উঠেছিল, সেই সময়ে ওই গবেষণাগার থেকেই বাইরে আসে করোনার জীবাণু। যার মূল্য চোকাতে হয় কোটি কোটি মানুষকে। অতিমারির কবলে পড়ে গোটা পৃথিবী! যদিও পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) করোনা অতিমারির কারণ খুঁজতে গিয়ে তদন্ত করে জানিয়েছিল, উহান থেকে করোনার ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা ‘অত্যন্ত ক্ষীণ’। কিন্তু তার পরেও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি উহানের।

সেই বিতর্কের পরেও কিন্তু করোনা নিয়ে গবেষণা বন্ধ করেনি উহান। চিনের সরকারের তত্ত্বাবধানে এবং পৃষ্ঠপোষকতায় চালিয়ে গিয়েছে পরীক্ষানিরীক্ষা। অবশেষে তার ফল মিলেছে বলে উহানের দাবি। তারা জানিয়েছে, এক ‘সর্ব করোনানাশী’ টিকা বানিয়েছে তারা! যা করোনার ভবিষ্যতের নানা রকম ‘মিউটেশন’কেও মাত দিতে পারবে।

Advertisement

নতুন ওই ‘ন্যানোভ্যাক্সিন’ নিতে হবে নাক দিয়ে। উহান গবেষণাগারের সূত্রে বলা হয়েছে, নতুন টিকা তৈরি করা হয়েছে করোনা ভাইরাসের এপিটোপের সঙ্গে ফারিটিন এবং একটি রক্তকণার প্রোটিনকে মিলিয়ে। যা থেকে তৈরি হওয়া ‘ন্যানোপার্টিকল’ শরীরে দীর্ঘমেয়াদি এবং জোরালো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সক্ষম। এ ব্যাপারে প্রাথমিক পরীক্ষার ফলাফল ‘এসিএস ন্যানো' নামের একটি মেডিক্যাল পত্রিকায় প্রকাশিতও হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement