পাতে থাকুক ওটস ছবি: সংগৃহীত
গোটা পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ মারা যান হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে। আর এর অন্যতম প্রধান কারণ রক্তনালীর অন্তঃ প্রাচীরে কোলেস্টেরল ও অন্যান্য স্নেহ পদার্থের সঞ্চয়। বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস। হৃদ্যন্ত্রের সংলগ্ন শিরা বা ধমনীতে এই ধরনের অবরোধ দেখা দিলে তা যেমন হৃদরোগের কারণ হতে পারে তেমনই মস্তিষ্কের রক্তনালীতে এই ঘটনা ঘটলে বাড়ে স্ট্রোকের সম্ভবনা। কিন্তু স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস এই রোগের আশঙ্কা অনেকটাই কমাতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এই রোগের সম্ভবনা কমাতে অত্যন্ত উপযোগী হতে পারে ওটস।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
১। অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস রোগে ঝুঁকির সম্ভাবনা অনেকাংশে বৃদ্ধি করে এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল। ওটস খেলে দেহে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ হ্রাস পায় অনেকটাই।
২। ওটসে থাকে অ্যাভেনানথ্রামাইড নামক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। প্রদাহ সৃষ্টিকারী একাধিক প্রোটিন কমাতে এটি সহায়তা করে। এ ছাড়া এমন কিছু উপাদান যা শিরা ও ধমনীর দেওয়ালে আটকে থাকে তা কমাতেও সহায়তা করে এটি।
৩। ওটের খোলাতে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার যা শিরা ও ধমনীকে ভাল রাখতে সহায়তা করে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
৪। বিশেষজ্ঞদের মতে ওটস ফাইবারে থাকে এমন কিছু উপাদান যা রক্তনালীর পুনর্গঠনে সহায়তা করে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত রক্তনালীগুলি পুনরায় স্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে। হৃদ্যন্ত্রে অক্সিজেন সরবরাহ করার জন্য এই প্রক্রিয়াটির গুরুত্ব অপরিসীম। অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস রোগে যেহেতু রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা দেখা যায় সেহেতু রক্তের পর্যাপ্ত অক্সিজেন বাঁচাতে পারে প্রাণ।