— প্রতীকী চিত্র।
কাজের পরিমাণ যে খুব একটা বেড়ে গিয়েছে, তা নয়। খাওয়াদাওয়াও স্বাভাবিক। তবু ইদানীং যেন কিছুতেই মন দিতে পারছেন না। কাজে সেই উৎসাহ নেই। কাজে বসার কিছু ক্ষণের মধ্যেই গা ম্যাজম্যাজ করছে। ঘুম পাচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ মিটিং চলছে, তারই মাঝে বার বার হাই উঠছে। গরম পানীয় খেয়ে সাময়িক চনমনে ভাব এলেও তার রেশ বেশি ক্ষণ থাকছে না। বাড়ি ফেরার পথে যেন পা টেনে ধরছে কেউ। কেনাকাটা রয়েছে, বাড়ির কাজও কিছু কম নয়। প্রত্যেক সপ্তাহেই ভাবছেন ছুটির দিনে একটু করে কাজ গুছিয়ে নেবেন। কিন্তু একটা করে দিন চলে যাচ্ছে, তা কাজে লাগাতে পারছেন না শুধুমাত্র এই ক্লান্তির কারণে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে শরীরে কয়েকটি উপাদনের অভাবে। তাই এনার্জি ড্রিঙ্কের উপর ভরসা না করে সেগুলির মাত্রা ঠিক আছে কি না, তা দেখে নেওয়া জরুরি।
১) ভিটামিন বি
শরীরে সব শক্তির উৎস হল কার্বোহাইড্রেট। অনেকেই হয়তো জানেন না, ভিটামিন বি কিন্তু প্রয়োজনে কার্বোহাইড্রেটে পরিণত হতে পারে। তাই প্রতি দিনের খাবারে ভিটামিন বি থাকা বাঞ্ছনীয়।
২) ম্যাগনেশিয়াম
ক্লান্তি, ঘুম ঘুম ভাব কিন্তু শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের অভাবেও হতে পারে। তাই কাজের মাঝে অতিরিক্ত ক্লান্ত বোধ করলে অনেকেই কলা খেয়ে নেন। কারণ, এই ফলে ম্যাগনেশিয়ামের পরিমাণ বেশি।
৩) পর্যাপ্ত জল
শরীরে জলের অভাব হলেও কিন্তু ক্লান্তি ঘিরে ধরতে পারে। তাই বলে নরম পানীয়, মদ বা এনার্জি ড্রিঙ্ক খেলে হবে না। ফলের রস, জল, শরবতের মতো পানীয় খেতে হবে।
৪) প্রোটিন
কার্বোহাইড্রেটের মতো খাবার বাদ দিয়ে প্রোটিনজাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খেলেও ঘুমন্ত ভাব, ক্লান্তি, অবসন্ন ভাব কেটে যেতে পারে। কারণ, প্রোটিনজাতীয় খাবারও ক্যালোরিতে রূপান্তরিত হতে পারে। যা আসলে শক্তি জোগান দেয়।
৫) পর্যাপ্ত ঘুম
ঘুম হল সব রোগের ওষুধ। রাতে ঘুম ভাল না হলে পরের দিন ক্লান্তি আসা স্বাভাবিক। শরীরও ভাল না থাকতে পারে। এমন সমস্যা থেকে রেহাই পেতে কাজের মাঝে একটু বিরতি নিয়ে ‘পাওয়ার ন্যাপ’ নিলেও চাঙ্গা লাগবে।