ছবি: প্রতীকী
তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দিনে দিনে বেড়েই চলেছে অবসাদ। ‘আমার দ্বারা কিচ্ছু হবে না’ বলে দিনের বেশির ভাগ সময়েই যারা সমাজমাধ্যমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটান, তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই অবসাদের শিকার। সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে অভিভাবকেরাও যথেষ্ট চিন্তায় থাকেন। মনোবিদ জ্যঁ টুই়ঞ্জ-এর মতে, “তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উদ্বেগ, মানসিক চাপ বেড়ে চলার সবচেয়ে বড় কারণ হল দীর্ঘ ক্ষণ সমাজমাধ্যমে সময় কাটানো এবং স্ক্রিনটাইম।”
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৫০ হাজার ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে করা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, তাঁদের বেশির ভাগের কাছে জীবন অন্তঃসারশূন্য। জীবনের কোনও ইতিবাচক মানেই তাঁরা খুঁজে পান না। জীবনকে যে উপভোগ করা যায়, সে বিষয়ে কোনও ধারণাই নেই তাঁদের। আরও সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে এই প্রজন্মের তরুণ-তরুণীরা এক দিনে গড়ে প্রায় নয় থেকে ১০ ঘণ্টা সময়, বিভিন্ন সমাজমাধ্যমে অতিবাহিত করে।
ছবি: প্রতীকী
প্রয়োজনে হোক কিংবা অপ্রয়োজনে সারা দিনে প্রায় বেশির ভাগ সময়েই তাঁরা ‘অনলাইন’ থাকেন। তবে সকলেই যে ইচ্ছাকৃত ভাবে এমনটা করে থাকেন, তা নয়। অনেকের ক্ষেত্রেই সমাজমাধ্যম এখন কর্মক্ষেত্রেরও একটি অঙ্গ। টুইঞ্জ বলেন, “১০ থেকে ১২ বছর আগেও কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে এমন সমস্যা ছিল না। কিন্তু এখন ছেলেমেয়েদের মধ্যে খাওয়াদাওয়া, ঘুম, সম্পর্ক— সব কিছুতেই অনীহা দেখা দিচ্ছে। সব কিছু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একা সময় কাটাতেই পছন্দ করছে তাঁরা।”
এমন পরিস্থিতির জন্য অনেকেই অবশ্য অতিমারিকে দায়ী করছেন। ‘সোশাল ডিসট্যান্স’ মানুষের মনে কতটা প্রভাব ফেলেছে, এখন তারই প্রতিফলন হচ্ছে।