ছবি: প্রতীকী
ছোটবেলায় মা-বাবার সঙ্গে ‘দীপুদা’-র বাইরে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার সুযোগ হয়নি অহনার। এখন কর্মজগতে প্রবেশ করে আরও বিপত্তি। স্কুল-কলেজে পড়ার সময়ে যদিও বা ছুটি পাওয়া যেত, এখন তো তা পাওয়া ভার। তবে শুনেছেন সহকর্মীরা ছুটি নিয়ে একা একাই এ দিক-ও দিক ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন। জীবনে কোনও দিন একা আত্মীয়ের বাড়ি রাত না কাটানো অহনারও ইচ্ছা হয় এমন রোমহর্ষক অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে। কিন্তু তার জন্য কী ভাবে প্রস্তুতি নিতে হয়, কী করতে হয়, তা তিনি জানেন না। অহনার মতো তরুণ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা অনেকেই এখন ‘সোলো ট্রিপ’-এ যাওয়ারই পক্ষে। পরিবারের দায়দায়িত্ব পালন করার পর বা পরিবারে পাকাপাকি ভাবে জড়িয়ে পড়ার আগে নিজের সঙ্গে সময় কাটাতে প্রকৃতির উদ্দেশে অনেকেই রওনা দেন। তবে যাওয়ার আগে কোন কোন বিষয় মাথায় রাখতে হয় জানেন?
১) পরিকল্পনা করে রাখুন
পাহাড়, জঙ্গল এবং সমুদ্র— যেখানেই যান না কেন, আগে থেকে পরিকল্পনা করে রাখুন। ট্রেন না প্লেন, কিসে যাতায়াত করলে সুবিধা, হোটেলের কাছাকাছি কী কী সুবিধা রয়েছে, পৌঁছতে রাত হলে যানবাহন পাওয়া যাবে কি না, সেই সব খতিয়ে দেখে তবেই কোথায় যাবেন, সেই জায়গা নির্বাচন করুন।
২) জরুরি জিনিস হাতের কাছে রাখুন
একা ঘুরতে গেলে প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস হাতের কাছে রাখা জরুরি। পরিচয়পত্র, মেডিক্লেম, স্যানিটাইজ়ার, চার্জার, জরুরি ওষুধ, টর্চ, নগদ কিছু টাকা— যে কোনও সময়ে প্রয়োজন পড়তে পারে এ সব জিনিস।
৩) অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্ট্স
মা-বাবা বা পরিবারের বড়দের সঙ্গে থাকলে এমন ঝুঁকিপূর্ণ খেলাধুলোয় অংশ নেওয়া অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না। তাই একা গেলে এই জাতীয় খেলায় যোগ দেওয়া সহজ হয়। তবে যে হেতু একা রয়েছেন, তাই কোনও বিপদ হলে তা সামাল দেওয়ার ক্ষমতা না থাকলে, এ দিকে না এগোনোই ভাল।
ছবি: প্রতীকী
৪) নিজের খাবার নিজে কিনুন
নিজের ব্যাগপত্র ট্রেনে রেখে খাবার বা পানীয় কিনতে যাওয়া বেশ সমস্যার। তাই বলে এগুলি আনতে অন্য কোনও সহযাত্রীকে ভরসা করাও ঠিক নয়। হয় নিজের কাছে যথেষ্ট পরিমাণ শুকনো খাবার রাখতে হবে, না হয় সুযোগ বুঝে নিজে গিয়ে কিনে আনতে হবে।
৫) পরিচিতদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন
একা ঘুরতে গেলেও মা-বাবা বা কাছের মানুষজনের সঙ্গে যোগাযোগে থাকতে হবে। ফোনে চার্জ না থাকলে বিকল্প ব্যবস্থা রাখতে হবে। কারণ, সেখানে গিয়ে কোনও বিপদে পড়লে নিজের মানুষজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।