দীর্ঘ জীবন চাইলে কমলালেবুর রস রাখতেই পারেন ডায়েটে। ছবি: সংগৃহীত
ফল বেশি পুষ্টিকর, না ফলের রস? এ তর্ক চলবেই। শরীরচর্চা বা খেলার সময় চটজলদি অতিরিক্ত শক্তি পেতে ফলের রস খাওয়া যেতেই পারে। তবে পুষ্টিবিদরা বলেন, স্বাস্থ্যগুণ বজায় রাখতে রস নয়, অবশ্যই খান গোটা ফল। পারলে খোসা সমেত। তাঁদের মতে, ফলের রসে ফাইবার থাকে না এবং উচ্চ মাত্রায় ফ্রুকটোজ থাকে যা রক্তে শর্করা মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে এমন একটি ফল আছে যা গোটা খেলেও যেমন উপকারী, রস বানিয়ে খাওয়াও ততটাই স্বাস্থ্যকর। দীর্ঘ জীবন চাইলে এই ফলের রস রাখতেই পারেন ডায়েটে। ভাবছেন, কোন ফল?
কমলালেবুর রস আদতে সুস্থতার দাওয়াই। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ফ্ল্যাভোনয়েড, ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর এই ফলের রস খেলে শরীরে রোগ-ব্যাধি বাসা বাঁধতে পারে না। তবে এই রস খাওয়ার আগে মাথায় রাখতে হবে, বাড়িতে তাজা লেবুর রস বানিয়ে খেলে তবেই পাবেন সুফল। বাজারের প্রক্রিয়াজাত ফলের রসে রাসায়নিক ও অধিক মাত্রায় চিনি মেশানো থাকে যা আদতে শরীরের ক্ষতি বেশি করে।
প্রতীকী ছবি
১) হৃদ্যন্ত্রকে সুস্থ রাখে
নিয়মিত কমলালেবুর রস খেলে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। এতে উপস্থিত হেসপিরিডিন ফ্যাভোনয়েড শরীরে রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। শুধু তা-ই নয়, এই যৌগ শরীরে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতেও সাহায্য করে।
২) সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সহায্য করে
কমলালেবুর রস কিন্তু সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে বেশ কার্যকর। ভাইরাল রোগের প্রকোপ থেকে বাঁচতে আমরা নানা প্রকার ভিটামিন ক্যাপসুলের উপর নির্ভর করি। কেবল রোজের ডায়েটে কমলালেবুর রস রাখতে পারলেই ব্যাক্টেরিয়া ও ভাইরাসের আক্রমণের আশঙ্কা এড়ানো যায়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কমলালেবুর জুড়ি মেলা ভার।
৩) মানসিক চাপ মুক্ত করতে
কর্মব্যস্ত জীবনে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ আমাদের নিত্যসঙ্গী। তবে ডায়েটে কমলালেবুর রস রাখলে তা শরীরের প্রদাহের পাশাপাশি মনের দোলাচলের ক্ষেত্রেও উপকারী হবে।