ধ্যান করারও আছে বিপদ। ছবি: সংগৃহীত।
দৈনন্দিন যাপনের সঙ্গে অনেকেরই ধ্যানের অভ্যাস জুড়ে আছে। দিনের শুরুতে ধ্যান করার অভ্যাস সত্যিই ভাল। অনেকে আবার রাতে ঘুমোনোর আগেও ধ্যানমগ্ন হন। শারীরিক এবং মানসিক শান্তির জন্য ধ্যানের কোনও বিকল্প নেই। মানসিক অস্থিরতা এবং শারীরিক ক্লান্তি দূর করতে ধ্যান কার্যকরী। তবে ধ্যান মানেই কিন্তু আদ্যপান্ত ইতিবাচক বিষয় নয়। এর কিছু নেতিবাচক দিকও রয়েছে। ধ্যান কিছু কিছু ক্ষেত্রে শত্রুও হয়ে উঠতে পারে।
১) অন্যদের সঙ্গে বাইরের জগৎ থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখতে ধ্যানের আশ্রয় নিতে হয়। ধ্যানের প্রতি ভরসা জন্মে গেলে বাইরের সব কিছু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার একটা ঝুঁকি থাকে। ধ্যান যেমন নিজের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তেমনই বিপরীত দিকে বাকিদের থেকে দূরে ঠেলেও দিতে পারে।
২) ধ্যান মননকে সাবলম্বী ও স্বতন্ত্র করে তোলে। অনেক ক্ষেত্রেই তা বহির্জগতের ক্ষেত্রে বিতৃষ্ণার সূত্র হয়ে উঠতে পারে। অথচ জীবনে আনন্দে বাঁচতে বাইরের জগতের উপাদান রসদ হয়ে উঠতে পারে।
৩) ধ্যান অনেক সময়েই বিভিন্ন ইন্দ্রিয়গুলিকে আরও সচেতন করে তোলে। যার জন্যে ঘুমের রুটিন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ধ্যান মন শান্ত করলেও, অনিদ্রার কারণ হয়ে ওঠে। এছাড়াও অতিরিক্ত ধ্যানের অভ্যাস শারীরিক ভাবেও ক্ষতি করতে পারে। ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, মাথা যন্ত্রণার মতো সমস্যা হওয়া খুব অস্বাভাবিক নয়।