বমি ভাব হলে নিজেই অফিসে বসে এগুলি করুন । ছবি: ফ্রিপিক।
সকালে তাড়াহুড়ো করে খেয়ে বেরিয়ে বাসে বা ট্রেনে চেপে অফিসে পৌঁছনোর পরেই শরীরে কেমন একটা অস্বস্তি হয়। কিছুক্ষণ ধীর স্থির হয়ে বসার পরে শরীর ঠিক লাগে। অনেকেই বলবেন, দীর্ঘ সময় বসে কাজ, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তো থাকেই, কাজ শেষ করার তাড়ায়, শরীর আনচান করে মাঝেমধ্যেই। দিনভর দফায় দফায় চা-কফি খাওয়া তো আছেই। কখনও বিরতি নিয়ে বেরিয়ে গিয়ে ফুচকা বা ঘুঘনি খেয়ে আসাও চলতেই থাকে। সহকর্মীর দেওয়া চানাচুড়-ঝুরিভাজা খেতে খেতে একটা সময়ে মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব হয়ই। দিনের শেষে যখন বাড়ি যাচ্ছেন, তখন দেখবেন কেমন গা গোলাচ্ছে। কী করলে বমি ভাব দূর হবে নিমেষে, জেনে নিন।
১) সঙ্গে আদা কুচি রাখুন। আদা কুচি রোদে শুকিয়ে নিয়ে বিট নুন দিয়ে রেখে দিন। বমি পেলে বা গা গুলোলেই দু’এক কুচি আদা মুখে ফেলুন। নিমেষে বমি ভাব দূর হবে।
২) অফিস ড্রয়ারে জোয়ান রেখে দেন তো? গ্যাস-অম্বল, বদহজম কমাতে সেই কবে থেকেই জোয়ানের ব্যবহার চলছে। এর উপকারিতা বলে বোঝানোর নয়। ছোট্ট কৌটোতে জোয়ান সব সময়ে সঙ্গে রাখুন। বমি পেলেই খানিকটা মুখে ফেলে দিন। দেখবেন নিমেষে বমি ভাব দূর হয়ে শরীর ঠিক লাগছে। বদহজম হলেও কাজ দেবে জোয়ান।
৩) যদি দুপুরের খাওয়ার আগে বমি ভাব হয়, তা হলে ভারী খাবার খাবেন না। শুকনো মুড়ির সঙ্গে শশা খেতে পারেন। শসা খুব তাড়াতাড়ি গা গোলানো, বমি ভাব দূর করতে পারে। শরীর ঠান্ডাও রাখে। বেশি নুন দিয়ে আবার শশা খাবেন না।
৪) বমি পেলে, শরীর খারাপ করলে উৎকণ্ঠায় ভুগবেন না। এতে হৃৎস্পন্দনের হার আরও বেড়ে যাবে। ধীর হয়ে বসে লম্বা করে শ্বাস নিন। অল্প অল্প করে জল খেতে থাকুন। সেই সঙ্গে ‘ডিপ ব্রিদিং’ করুন। লম্বা করে শ্বাস নিন ও ছাড়ুন। ৫-১০ মিনিট করুন। দেখবেন শরীর অনেক ঠিক লাগছে।
৫) ‘আকুপ্রেশার’ পদ্ধতি কার্যকরী হতে পারে। হাতের কব্জি থেকে তিন ইঞ্চি নীচে মাঝামাঝি ‘পি৬’ পয়েন্ট আছে। এই জায়গাটি ধরে নাড়ি পরীক্ষাও করা হয়। সেখানে বুড়ো আঙুল দিয়ে চেপে ধরে ঘড়ির কাঁটার দিকে আঙুলটি চাপ দিয়ে ঘোরান। ৫ মিনিট ঠিকমতো করতে পারলে, দেখবেন শরীর অনেক ঠিক লাগছে।